সেই ২০০৮ সালের পর থেকে পাকিস্তানে নেই কোন ক্রিকেটের কোন বড় আসর। মাঝে সন্ত্রাসী হামলার জেরে ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত হোম সিরিজই আয়োজন করতে পারেনি তারা। এরপর অবশ্য ক্রিকেট ফিরেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে। পাকিস্তানে এসে খেলে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মত দেশগুলো। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি ভারত। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যেতে অস্বীকৃতি জানায় তারা।
মূলত এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক-স্বত্ব পাকিস্তানের। তবে রাজনৈতিক জটিলতায় সেখানে যাওয়ার ব্যাপরে আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। বিসিসিআইয়ের এমন সিদ্ধান্তে লম্বা সময় ঝুলে ছিল এশিয়া কাপের ভাগ্য। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে সঙ্গী হিসেবে নিয়ে হাইব্রিড মডেলেই আয়োজিত হচ্ছে এশিয়া কাপ। আর এতেই অসন্তোষ দানা বেঁধেছে পাক অধিনায়ক বাবর আজমের মনে। তার মতে, পুরো আয়োজনই পাকিস্তানে করা উচিত ছিল।
টুর্নামেন্টের সব জটিলতা মাথায় রেখে শ্রীলঙ্কাতেই বেশি ম্যাচ আয়োজিত হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচও হবে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। তাতে খুব বেশি খুশি নন বাবর আজম। পাকিস্তানের অধিনায়ক মনে করেন, টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ তাদের দেশে হওয়া উচিত ছিল, ‘আপনি যদি আমার কাছে জানতে চান তাহলে এশিয়া কাপ শুধু পাকিস্তানে হওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত এটি নিয়ে কিছুই করা যাবে না।’
বাবর বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের যেকোন সূচি দেয়া হোক আমার সেটার জন্য প্রস্তুত। ব্যাক টু ব্যাক খেলার জন্য আমাদের ভ্রমণ করতে হবে এবং আমরা সেটার জন্য প্রস্তুত। আমাদের কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফরা পরিকল্পনা তৈরি করেছে প্রতিটি খেলোয়াড়কে কতটা ব্যবহার করব। আমরা আমাদের ফ্লাইটগুলো এমনভাবে বুক করেছি যাতে ভ্রমণের সূচি আমাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেয়।’
একমাত্র ভারত ছাড়া সবগুলো দেশকেই এবারের আয়োজনকে কেন্দ্র করে ভ্রমণের ঝামেলায় পড়তে হবে। দুই দেশেই গিয়ে খেলতে হবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপালকে। ৩০ আগষ্ট মুলতানে নেপালের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। এর দুদিন পর ভারতের বিপক্ষে খেলতে শ্রীলঙ্কায় যেতে হবে বাবরের দলকে।
এদিকে ৩১ আগষ্ট পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের দলের পরের খেলা পাকিস্তানের লাহোরে, দুদিন পর। অন্যান্য দলকেও এমন ভ্রমণ জটিলতায় পড়তে হবে।