পোশাক শ্রমিকদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। সিনেমাটির নাম ‘শিমু’।এটি ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নামে ফ্রান্স,ডেনমার্ক, কানাডা ও পর্তুগালের বিভিন্ন সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল। সে ২০১৯ সালের কথা।
পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হলে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়। ম্যাক্সিকো, চীন, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশেও মুক্তি দেওয়া হয় সিনেমাটি। ২০২২ সালের মার্চের ১১ তারিখে ‘শিমু’ মুক্তি পায় বাংলাদেশে।
সেই ধারাবাহিকতায় জাপানের টোকিওসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তি পেল সিনেমাটি। সেখানে মোট ১৫ টি হলে দেখা যাচ্ছে ‘শিমু’ তথা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। জাপানে ‘শিমু’র উদ্বোধনী শো অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (১৬ এপ্রিল)। সেখানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন রুবাইয়াত হোসেন। দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।
রুবাইয়াত হোসেন জানান, নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বী হওয়ার পেছনে পোশাকশিল্পের শক্তিশালী অবদান রয়েছে। সেই আলোকেই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এখানে পোশাকশ্রমিকদের দৈনন্দিন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি আরও জানান চলচ্চিত্রটি নির্মাণের পেছনেও রয়েছে এক ঝাঁক নারীর অক্লান্ত পরিশ্রম। কেননা নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি ছিল। সিনেমাটি পরিবেশনে জাপানে যারা যুক্ত হয়েছেন তারাও নারী। ‘মেইড ইন বাংলাদেশে’র জাপানি পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের নাম ‘পেন-ডোরা’। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান একজন নারী। সিনেমাটির জাপানি ভাষায় সাবটাইটেল লিখেছেন একদল নারী শিক্ষার্থী।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, নভেরা রহমান, দীপান্বিতা, পারভীন পারু, মায়াবি মায়া, মোস্তফা মনোয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সামিনা লুৎফা, জয়রাজ প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন ফ্রাসোঁয়া দক্তেমা ও আশিক মোস্তফা। সহ প্রযোজনায় ছিলেন পিটার হিলডাল, পেদ্রো, আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ ও রুবাইয়াত হোসেন।
২০১৯ সালে ‘শিমু’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল টরেন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে। এরপর এটি বিএফআই লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবের ৬৩তম আসরে প্রদর্শিত হয়। প্রশংসার পাশাপাশি বেশকিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে ‘শিমু’ তথা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’।