নিপুণ-জায়েদের পদ: বসেননি আদালত, হয়নি শুনানি
logo
ঢাকা, রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিপুণ-জায়েদের পদ: বসেননি আদালত, হয়নি শুনানি

বিনোদন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২ ৫:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিএফডিসি) সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা নিপুণ আক্তারের দ্বন্দ্বে হাইকোর্টের রুলের শুনানির দিনে বসেননি আদালত। ফলে এ বিষয়ে শুনানি হয়নি।

হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চে ভার্চুয়ালি এ শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান।

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএফডিসির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খানের করা রিটের বিষয়ে রুলের ওপর শুনানির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি ঠিক করা হয়।

তখন আদালতে নিপুণের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি।

এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ এবং স্থিতাবস্থা বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে বিষয়টি হাইকোর্টে রুল শুনানিসহ নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ তুলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ আক্তার। এমনকি এ পদে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন তিনি। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না- সে বিষয়ে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন জায়েদ খান। এর আগে জায়েদ খানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি ও আদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন নিপুণ। এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে নিপুণের আবেদনটি ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে আদেশ দেন। একইসঙ্গে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে ওই সময় দুই পক্ষকে (নিপুণ ও জায়েদ) স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন।

২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন হয়। প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জায়েদ খানকে। পরে জায়েদের বিরুদ্ধে ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা’সহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ।

ভোটের সাতদিন পর ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বিষয়টিকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে আসছেন জায়েদ খান।

এরই মধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ আক্তারের নেতৃত্বে নতুন কমিটি শপথ নেয়। পরে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে নিজ নিজ পদের চেয়ারে বসেন তারা। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন সমিতির সদস্যরা।

এর পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি নিপুণ আকতারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জায়েদ খান। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত ওইদিনই স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিপুণের আইনজীবী আবেদন করেন।

এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি আপিলের শুনানি নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। একই সঙ্গে আদেশে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করা হয়।

এসময়ের মধ্যে জায়েদ-নিপুণ কেউ সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে জানানো হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ এবং স্থিতাবস্থা বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আর হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির জন্য বলেন।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।