ফুলবাড়িতে সূর্যমুখী বাম্পার ফলন লাভবানের আশায় কৃষকরা
logo
ঢাকা, শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়িতে সূর্যমুখী বাম্পার ফলন লাভবানের আশায় কৃষকরা

Link Copied!

কুড়িগ্রামে ফুলবাড়িতে   কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু ( ৭০) এর ব্যতিক্রম নয়। সফলতার আশায় বুক বেঁধে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন এলাকায় চাষ করেছেন সূর্যমুখী ফুলের।
সূর্যমুখী চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সূর্যমুখীর বীজ বপন করার পর পরিপক্ক হতে সাড়ে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগে। জমিতে সারিবদ্ধ করে দুই ফুট দূরত্বে লাগাতে হয়। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমিতে ৭- ৮ মণ বীজ হয়। প্রতি মণ বীজ তিন থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বাজারে বিক্রি হয়। এতে বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে ৩-৪ হাজার টাকা।
সূর্যমুখী চাষে বেশি শ্রমিক প্রয়োজন হয় না, রোগবালাইও কম। তাছাড়া সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত। তবে অন্যান্য তেলের চেয়ে দাম একটু বেশি। বেশি সার, পানি ও কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না বলে জানান কৃষকরা। সূর্যমুখী চাষি তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু ( ৭০) বলেন, গত বছর আমি ৩২ শতাংশ  জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হয়েছি। তাই এবার আবার ৫ বিঘা জমিতে চাষ করছি। আশা করছি, গতবারের চেয়ে এবার বেশি লাভবান হবো।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য আবাদের চেয়ে সূর্যমুখী অনেক লাভজনক। সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়াও সূর্যমুখী থেকে অনেক উন্নতমানের তেল হয়। কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য ফসল নিয়ে ব্যস্ত। তাই সূর্যমুখী চাষের দিকে নজর দিচ্ছে না। এ বছর কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ দেওয়ার কারণে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
ফুলবাড়ী উপজেলা সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, উপজেলায় এ বছর প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সূর্যমুখী তেল পুষ্টিকর।  কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারিভাবে প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষককে বীজও পরামর্শ দেয় হয়েছে।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।