ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলে শুরু হয়েছে আগাম ধান কাটার উৎসব। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কৃষকের ঘরে ওঠে। কিন্তু এবার অনেক কৃষক আগাম জাতের আমন ধান আবাদ করেছেন। এরই মধ্যে সেসব ক্ষেতের ধান কাটা শুরু হয়েছে।
পোকার আক্রমণ আর নানা রোগবালাইয় এবং তিনটি বন্যার পরেও এবার আমনের বাম্পার ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা।
বর্তমানে ধানের মূল্য বেশি থাকায় লাভবান হওয়ার আশায় মুখ ভরা হাসি নিয়ে আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত এ উপজেলার কৃষকেরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রাণীশংকৈল উপজেলায় আমন মৌসুমে ২১ হাজার চারশত ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালের ধান চারশত ৫০ , হাইব্রিড চার হাজার ৮ শত ৫০ , এবং উপসি ১৬ হাজার একশত ৫০ , ও বিভিন্ন প্রকার উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে মোট আবাদের শতকরা ৫ ভাগ অর্থাৎ ২১ হাজার চারশত ৫০ হেক্টর।
রাণীশংকৈল উপজেলার রাউত নগর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, এ মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে বিনা- সেভেন ৭ জাতের ধান চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৩ মণ ফলন হচ্ছে। গত বছরও একই জমিতে একই জাতের ধানের চাষ করে ফলন কম পেয়ে কম দামে বিক্রি করেছিলাম। এ বছর ফলন কিছুটা বেশি, ও দামও বেশি।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষিবিদ অফিসার সঞ্চয় দেব নাথ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা ভাল ফলন পাচ্ছেন। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেশি। কৃষকরা যদি আরো দেরিতে ধান বিক্রি করে তাহলে আরও ভালো দাম পাবেন।
দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।