অর্থ সংকটে বন্ধ নজরুল ভাস্কর্যের কাজ
logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অর্থ সংকটে বন্ধ নজরুল ভাস্কর্যের কাজ

Link Copied!

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) কবি নজরুল ভাস্কর্যটি বর্তমানে অর্থ সংকট এর জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। আবার যখন অর্থ আসবে তখন কাজ শুরু হবে। আর এটি একটা ছোট্ট বিষয়। উদ্ভোদনের সময়ে দ্রুত কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস পরিচালক প্রকৌশলী মো হাফিজুর রহমান এখন এসব কথা বলেন।

অবহেলিত কবির নবনির্মিত ভাস্কর্যটি দীর্ঘ চার বছরেও সম্পন্ন না করেই জাতীয়  কবির ১২২ তম জন্মদিনে অসম্পূর্ণ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

(২০১৭-২০১৮) অর্থবছরে শুরু হওয়া ভাস্কর্যের কাজ ২০১৯ সালের জুন-জুলাই মাসে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে তা সম্ভব করতে পারেনি প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুতিয়া করপোরেশন।আর এখন ২০২১ সালেও অসম্পূর্ণ জাতীয় কবির ভাস্কর্যটি।সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় ভাস্কর্য নির্মাণের ব্যায়।আর এখন অর্থ সংকট এর অজুহাত দিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ।

কবির ১২২তম জন্ম বার্ষিকীতে সাদা কাপড়ে অসম্পূর্ণ ভাস্কর্যের নিচের অংশ মুড়িয়ে এবং লালগালিচার ব্যবহার করে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের তীর ছাপিয়ে ভাস্কর্যের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার আগেই নজরুল ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেছিলো।আর সে সময় বলা হয়ে ছিলো খুব দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ  করবে।সে সময় নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ভাস্কর্যের উদ্বোধন করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ও শিক্ষার্থীদের নিন্দা জানিয়ে ছিলো।

কিন্তু উদ্ভোদনের আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন অর্থ সংকট দেখিয়ে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ অবস্থায় বন্ধ করে রেখেছে।সরজমিনে দেখা যায় বর্তমানে ভাস্কর্যে কোন রকম কাজ হচ্ছে না।এই নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছে হাজারো প্রশ্ন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, যেহেতু নজরুল এর নামে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় তাই দ্রুত এই ভাস্কর্যের কাজ শেষ হোক। আর যে পরিমাণ কাজ আছে তা ভালো করে সমাপ্ত করলেই খুব সুন্দর একটা পরিবেশ হবে এই ভাস্কর্যের।যেখানে কবির নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নান্দনিক হওয়ার কথা কবির ভাস্কর্য, সেখানে অবহেলিত।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত  রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরাও একপ্রকার বিব্রতকর অবস্থায় আছি। প্রথমে পরিকল্পনায় গলদ ছিল। আর সেজন্যই অর্থ সংস্থানের জন্য অন্য প্রকল্পের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বিধায় প্রক্রিয়াগত কারণে একটু দেরি হচ্ছে। ঈদেরছুটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও পরিকল্পনা দপ্তরের অনেকেই সপরিবারে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং আছেন। তবে এটিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।