অসমাপ্ত সেই ম্যাচটা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়ানোর কথা। সাও পাওলোয় অনুষ্ঠেয় সেই ম্যাচে অবশ্য বেশ কিছু অসুবিধা আছে। আনুষ্ঠানিক ম্যাচ হওয়ায় সেই ম্যাচে পাওয়া সব নিষেধাজ্ঞা বিশ্বকাপেও বহাল থাকবে। সেই ম্যাচে কেউ লাল কার্ড দেখলে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে খেলা হবে না তার।
সে কারণে আর্জেন্টিনা দলের কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিও এই ম্যাচে না খেলার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বেশ কয়েকবার। সেজন্যে আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতেও গিয়েছে।
আর্জেন্টিনার মতো আদালতে না যায়নি বটে, তবে ব্রাজিলও এই ম্যাচটা খেলতে আগ্রহী নয়। গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কোচ তিতের অনুরোধ পাওয়ার পর আমরা এখন ম্যাচটা বাতিল করার চেষ্টা করব।
এই ম্যাচ নিয়ে ব্রাজিল ফুটবলের সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেজ বলেন, ‘এই ম্যাচ নিয়ে আমাদের কোচিং স্টাফের অবস্থানের পর আমরা ফিফার কাছে এই ম্যাচটা বাতিল করার অনুরোধ করব। কোচিং স্টাফদের সাহায্য করার জন্য সবকিছুই করব আমরা। আমাদের প্রধান লক্ষ্যটা হচ্ছে কাতারে ষষ্ঠ বিশ্বকাপটা জেতা। এই ম্যাচটা যেন না হয়, তার সব ধরনের চেষ্টাই করব আমরা।’
আর্জেন্টিনা ম্যাচটা খেলতে চাইছে না সাসপেনশন আর চোটাঘাতের ভয়ে। গতকাল ব্রাজিলের প্রকাশ করা সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেই একই কারণে ম্যাচটা খেলতে চাচ্ছেন না কোচ তিতে।
গেল বছর ৫ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের মাটিতে খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। তবে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, জিওভানি লো চেলসো আর ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো ইংল্যান্ড থেকে আসায় তাদের জন্য ছিল নিয়মের কড়াকড়ি, থাকতে হতো কোয়ারেন্টাইনে। তা না করেই ম্যাচ খেলতে নেমে যাওয়ায় তাদের মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার জন্য ম্যাচে হানা দিয়েছিলের ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। যে কারণে ম্যাচটা ৫ মিনিট খেলার পরই থেমে যায়, পরে আর তা মাঠে গড়ায়নি।
সেই ম্যাচটাই এই বছর আয়োজনের কথা ছিল ব্রাজিলের। তবে সে ম্যাচে খেলবে যে দুই দল, সেই ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনাই এখন ম্যাচটা খেলতে চাইছে না। যার ফলে ম্যাচটা না হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে এখন। ব্রাজিলিয়ান সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, দুই দলের চাওয়াকে সম্মান করে সেই ম্যাচটা বাতিলের সিদ্ধান্ত শিগগিরই ঘোষণা দেবে ফিফা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441