ইসরায়েলে হামাস যে আকস্মিক হামলা চালিয়েছে তাতে ইরান সরাসরি জড়িত নয় বলে দাবি করা হয়েছে। তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইরানের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইরানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা ফিলিস্তিনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। তবে আমরা ফিলিস্তিনের এ ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত নই। ফিলিস্তিনিরা নিজেরাই এসব হামলা চালাচ্ছে।
তবে হামাসের পক্ষ থেকে এর আগে জানানো হয় যে, ইরানের সহায়তায় তারা হামলা চালিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এই হামলার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, এই বিশেষ হামলার নির্দেশনা দেওয়া বা এর পেছনে ইরানের হাত আছে এমন প্রমাণ এখনো পায়নি মার্কিন সরকার।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং এর পশ্চিমা মিত্রদের দাবি ইরান বছরের পর বছর ধরে হামাসকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং এর যোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) কয়েক হাজার রকেট লঞ্চারসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের মাটিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলও। এখন পর্যন্ত দুপক্ষের সংঘাত চলছেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ হচ্ছে।
দুপক্ষের এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
অপরদিকে গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪১৩ জন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলার কারণে প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি প্রধান শহরে হামাস যোদ্ধা এবং ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কমান্ডার আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনী।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441