ইসলামি সংগীতে সাফল্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র আব্দুল্লাহ আল মুআজ রিফাত
logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসলামি সংগীতে সাফল্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র আব্দুল্লাহ আল মুআজ রিফাত

মাহমুদুল হাসান, স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই ৩১, ২০২১ ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আব্দুল্লাহ আল মুআজ রিফাত একজন নাশীদ শিল্পী। নিজের লেখা এবং সুর করা অসংখ্য গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন।তার গান ইতিমধ্যে বিভিন্ন চ্যানলেও প্রচারিত হয়েছে।

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় জন্ম নেওয়া এ তরুণ নাশিদ শিল্পী বর্তমানে ইসলামী সাংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছেন শৈশব থেকেই বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠানে নাশিদ গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ কর‍তেন। বিভিন্ন ইসলামি অনুষ্ঠান মঞ্চে ইসলামি সংগীত গাইতেন। তার গাওয়া ইসলামি সংগীত,হামদ ও নাত তন্ময় হয়ে উপভোগ করতেন দর্শক- শ্রোতারা।

শিল্পী আব্দুল্লাহ আল মুআজ রিফাতের সংগীত জগতের হাতেখড়ি বড় মাধ্যমে না হলেও নিজের প্রচেষ্টায় এতদুর এসেছেন।পড়াশোনায় নিমগ্ন থাকলেও ভুলে যাননি সংগীতচর্চা।

বাবা মা ও উস্তাদগণ বলতেন পড়াশোনায় ভালো করার জন্য৷ তাই তিনি পড়াশোনায় বেশি মনোযোগী ছিলেন। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সংগীত চর্চা ও মাঝে মাঝে গান,কবিতা লেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতেন।হিফজ শেষ করে তিনি পুরো দমে সংগীতের প্রতি মনোনিবেশ করেন।

২০১৭ সালে তার প্রথম একক এ্যালবাম ” হে রাসুল দেখা দাও আমায়” প্রকাশিত হয় । যা তেমন সাড়া ফেলেনি। এর পর ২০১৮ সালে তার দ্বিতীয় এ্যালবাম ” দেখা দাও হে প্রিয় রাসুল” প্রকাশ হলে সেটি দর্শকদের হৃদয়ে স্হান করে নেয়।

এ পর্যন্ত তাঁর নিজের লেখা ও সুর করা প্রকাশিত সংগীতগুলো হলো- নুরে মোজাচ্ছাম, নুরে মদিনা, প্রভু রহমান, ও মদিনাওয়ালা,নিশি রাতের ঐ তারার মেলায়, ইত্যাদি।

এ ছাড়াও তিনি তাকওয়া হাসিলে রমাদান,নেতার ভুড়ি, আল্লাহ মেহেরবান,সল্লিআলা, প্রভুর প্রেমে,দুর করে দাও করোনা গজব,ও নবীজি, সুবহানাল্লাহ, সীমাহীন ভালবাসা,প্রেমের গান,জান্নাতী নুর, চিরবিদায়, মুহাম্মদ রাসুল’ সংগীতগুলো গেয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

এ ছাড়াও তিনি গত রমজান মাসে একুশেটিভি,বিটিভি, দীপ্তটিভি,চ্যানেল নাইন,বৈশাখীটিভি,কৃষি রেডিও এফএম ৯৮.৮, বাংলাভিসনে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন।

সংগীত নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে কণ্ঠশিল্পী আব্দুল্লাহ আল মুআজ(রিফাত) বলেন, ছোটবেলায় ছারছীনা দরবারের জুলফিকার শিল্পীগোষ্ঠীর তৎকালীন পরিচালক জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মুফতী আব্দুল মুনয়িম খানের “ডেকে লওরাসুলাল্লাহ,
জীবন দিয়ে ভালবাসী নবী তোমাকে, হে রাসুল তোমায় ভালবাসী ” গজলগুলি শুনে তার মতো হুবহু কন্ঠে গাওয়ার জন্য চেস্টা করতাম এবং সবমসময় তাকে ফলো করতাম। এরপরে হিফজখানায় ভর্তি হই তখনও টুকটাক গজল গাইতাম এবং আমার উস্তাদ তার মাহফিলের প্রোগ্রামে আমাকে প্রায় নিয়ে যেতেন।
এরপরে পড়াশোনায় তেমন মনোযোগ না দেখে আমার আব্বু বলতেন যে, তুমি আগে হিফজ কমপ্লিট করো এরপরে সংগীত করার অনেক সময় পাবা।
আব্বুর কথা শুনে পুরোদমে পড়াশোনায় মন দিই এবং মাত্র দু্বছরে হিফজ শেষ করি।

আমি গান করার জন্য প্রথম দিকে কখনো কারো হেল্প পাইনাই, উল্টো আমি যেন এই অংগনে কাজ না করতে পারি সেজন্য অনেকেই আমার ফ্যামিলিকে বিভিন্ন ভাবে কুমন্ত্রনা দিতো তবুও আমি দমে যাইনাই।
নিজের ভিতর একটা জিদ নিয়ে কাজ করছি, এরপরে অনেক প্রিয়জনরা পিছন থেকে বিভিন্ন সময় আমাকে অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ দিয়েছে। তবে আমার আম্মু প্রথম থেকেই সবসময় আমাকে গান করার জন্য উৎসাহ দিতো। আমার আম্মুর জন্যই এতদুর আসতে পেরেছি।

আমি সংগীত গেয়ে ভাইরাল হওয়ার জন্য সংগীত করিনা, আমি একমাত্র আল্লাহ ও তার রাসুলের সন্তুষ্টি লাভের জন্যই ইসলামী সংগীত করি।
আমি মনে করি ইসলামী সংগীত ইসলামী সাংস্কৃতিক বিপ্লবের একটি অংশ হিসেবে কাজ করে। মানুষ বিনোদনের নামে বেহায়াপনা দেখে থাকে। নোংরা সংস্কৃতির মোহে পড়ে যায়। আমি আশাবাদী আগামী দিনে মুসলিম উম্মাহ অশ্লীল গান ছেড়ে আমাদের সুস্থ সুন্দর ও হালাল বিনোদন গ্রহণ করবে। ইসলামী সঙ্গীত নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। ইসলামী সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি মানুষের কাছে এটাই আমার প্রত্যাশা।

শিল্পী আব্দুল্লাহ আল মুআজ রিফাত বর্তমানে ইসলামী সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সুপরিচিত একটি নাম। তার সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বরগুনা জেলার স্বনামধন্য একটি মাদরাসায় অধ্যয়নরত আছেন। বর্তমানে তিনি ইসলামিক সংগীত নিয়ে কাজ করছেন দশ ও দেশের কল্যাণের জন্য।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।