কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারে যানজট নিয়ন্ত্রণের বাইরে। জনদূর্ভোগ চরম আকারে। দেখার যেন কেউ নেই। ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ইজিবাইকের কারণে কোন সড়কেই স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা জো নেই। এসব যানবাহনের দৌরাত্ম্যে সড়কগুলোতে চলাফেরা দুঃসহ হয়ে পড়েছে। ঈদগাঁও ডিসি সড়ক ও সংযোগ সড়কগুলোতে প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগে থাকে অসহনীয় যানজট।
এসব যানজট প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করছে জনদুর্ভোগ। তবে এ নিয়ে ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ বিভিন্ন অস্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছেনা। প্রতিনিয়ত এমন যানজটে নাকাল ঈদগাঁওবাসী।
সম্প্রতি ঈদগাঁওর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যানজটের ভিন্ন ভিন্ন কারণ জানা গেল। বাজারের প্রাণকেন্দ্র খ্যাত বাস ষ্টেশন, ডিসি রোড়, হাইস্কুল গেইট, শাপলা চত্বর ও বাশঁঘাটা সড়কে যানজটের অন্যতম কারণ হলো ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। ঈদগাঁওয়ে কতগুলো ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই কোন দপ্তরে।
ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী, ফরাজী পাড়া, পোকখালী, গোমাতলী, ইসলামপুর, হাজীপাড়া, গজালিয়া, কালিরছড়া, কলেজ গেইট, ভাদিতলা, ভোমরিয়া ঘোনা ও ঈদগাঁও বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী অটোরিকশার সংখ্যা কয়েক হাজারেরও বেশি বলে জানা গেছে। সে সাথে মালবাহী দুরপাল্লার বড় বড় ট্রাক বাজারে প্রবেশ করায় যানজটকে আরো দীর্ঘস্থায়ী করে তুলেছে। নেই কোন সময়সীমা। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর নেই।
সাধারন পথচারীরা জানান, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালকরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়ক উপসড়কে। যার কারনে সড়কে ছোট বড় দূর্ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে প্রায়শ। এসব ব্যাপারে সিদ্বান্ত গ্রহণ করা অতীব জরুরী।
শামসুল আলম, সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে জানান, কোন নিয়মনীতি না থাকায় সড়কগুলোতে কারণে অকারণে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি-বাজার ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মিলে একটা সুন্দর উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
আসন্ন মাহে রমজানের আগে রোজাদারদের ভোগান্তি কমাতে যানজট নিয়ন্ত্রণ করার আহবান জানিয়েছেন বাজারের সচেতন ব্যবসায়ীগণ।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সাধারন সম্পাদক রাজিবুল হক রিকোর মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441