এল‌ডি‌সি উত্তরণ হওয়া দেশগুলোকে প্রণোদনা নি‌শ্চিতের আহ্বান
logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এল‌ডি‌সি উত্তরণ হওয়া দেশগুলোকে প্রণোদনা নি‌শ্চিতের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৫, ২০২১ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রণোদনা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহায়তা কাঠামো নিশ্চিত করার আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছে বাংলা‌দেশ।

বুধবার (২৪ ন‌ভেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলা‌দে‌শের চূড়ান্তভাবে উত্তরণের রেজুলেশনটি গৃহীত হওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত ফা‌তিমা ব‌লেন, স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে উত্তরিত (স্নাতক) হওয়া কেবল সুনির্দিষ্ট একটি দেশেরই সাফল্য নয়, এটি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বের শক্তির প্রমাণও বটে।

উত্তরণ কোনোভাবেই শাস্তি হতে পারে না, এটি হতে পারে পুরস্কার উ‌ল্লেখ ক‌রে বাংলা‌দে‌শের স্থায়ী প্রতি‌নি‌ধি উত্তরণ চ্যালেঞ্জের প্রতিটি দিক বিশেষ করে উত্তরণ পরবর্তী আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থা, বাধাহীন উত্তরণ ও এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার উপযোগী এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানান।

রেজুলেশনটি গ্রহণের ক্ষেত্রে ঐক্যমতে পৌঁছাতে সহায়তার জন্য সব সদস্য দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ফা‌তিমা।

বাংলা‌দে‌শের স্থায়ী প্রতি‌নি‌ধি ব‌লেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখেছেন। কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহতম সময়েও সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার ফলে রূপকল্প-২০২১ পূর্ণতা পেল।

কাতারের দোহায় অনুষ্ঠেয় আসন্ন ৫ম জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলন (এলডিসি-৫) প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফা‌তিমা বলেন, পরবর্তী দশকে এলডিসি’র দেশগুলোর জন্য একটি রুপান্তরধর্মী কর্মসূচি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সম্মেলনটি উন্নয়ন সহযোগীদেরকে চমৎকার একটি সুযোগ এনে দেবে।

জা‌তিসং‌ঘের বাংলা‌দেশ স্থায়ী মিশন জানায়, দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (DPOA) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উত্তরণের বিষয়টিকে এর অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোর একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে যাতে আরও ১৫টি এলডিসিভুক্ত দেশকে উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম করে তোলা যায় খসড়া দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনে সে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যের সাফল্য নির্ভর করছে মূলত উন্নয়ন অংশীদারদের সংহতি ও বাড়তি সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতির উপর।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রর্বাট রে এলডিসি-৫ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করছেন।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।