বরগুনা পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে পাঁচজন ফরম সংগ্রহ করলেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ ।
আসন্ন বরগুনা পৌরসভা নির্বাচন তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন নির্ধারনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচনী আমেজ জমজমাট হয়ে উঠেছে পুরো বরগুনা পৌরসভা সহ বরগুনা জেলায়।
চায়ের দোকান থেকে শুরু সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে শুধু একটাই আলোচনা কে হচ্ছেন বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনের নৌকার কান্ডারী
বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে বরগুনা আওয়ামী পরিবার থেকে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন মোট পাঁচজন।
১. মোঃ হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ।
২. অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ ও সভাপতি বরগুনা জেলা আওয়ামী যুবলীগ।
৩. মোঃ রইসুল আলম রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ।
৪. অ্যাড. শাহজাহান মিয়া, সদস্য বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ।
৫. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বরগুনা পৌর আওয়ামীলীগ।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির দলীয় মনোনয়ন চাইলেও পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত জনসম্পৃক্ততা নেই তার।
গত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকার প্রার্থী হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নির্বাচন প্রত্যাহার করতে হয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ কে। ২০১৫ সালে নির্বাচন বর্জন করলেও মাঠ থেকে একচুলও সরে দাঁড়াননি মহারাজ। তখন থেকেই আঁটঘাট বেঁধে মাঠে রয়েছেন তিনি।
(কোভিড-১৯) করোনা মহামারিতে বরগুনা পৌরসভার খেটে খাওয়া অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের মাঝে তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে চাল, ডাল, আলু ইত্যাদি খাবার পন্য নিয়ে গরিব, মধ্যবিত্ত সহ অনেকের দরজায় হাজির হয়েছেন। যিনি সবসময় বরগুনা পৌরবাসী সকলের সুখে দুঃখের পাশে থেকেছেন । বর্তমানে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তৃণমূলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা, আস্থা এবং ভালোবাসা অর্জন করেছেন মহারাজ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রইসুল আলম রিপন দলীয় মনোনয়ন চাইলেও নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ব্যক্তিগত জনসংযোগে তেমন দেখা যায়নি তাকে। তার কিছু সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে ও কিছু ডিজিটাল ব্যানার করে তাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে জানান দিয়েছেন।
সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান পরপর দুইবার নির্বাচনে হেরে জনগণ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভা সেমিনার ছাড়া তাকে তেমন দেখা যায়নি। তার জনপ্রিয়তা প্রায় তলানীতে ঠেকেছে।
বর্তমান মেয়র শাহাদাৎ হোসেন ব্যাপক অনিয়ম এবং দূর্নীতির কারনে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের চেয়ে ব্যাবসায়িক ক্যারিয়ার গঠনের ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। পৌরবাসীর দাবী পৌর মেয়রকে ও তিনি দেখছেন ব্যবসায়িক পদ হিসেবে।
সকল দিক বিবেচনা করলে মহারাজই বরগুনা পৌর নির্বাচনের আওয়ামী পরিবারের একমাত্র জনপ্রিয় মেয়র প্রার্থী ।
তাছাড়া মনোনয়ন দৌড়ে ও এগিয়ে রয়েছেন মহারাজ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর ভাষ্যমতে যারা বিগত দিনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাঁদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। সে হিসেবে মহারাজ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন।
মহারাজ বলেন, আমি সাধারণ জনতার রাজনীতি করি তাই জনগণ-ই আমার শক্তি এবং সকল সময় আমি বরগুনা পৌরবাসীর সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম এবং আছি। এজন্যেই পৌরবাসী আমাকে ভালোবাসে। তাছাড়া দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন এবং দলীয় মনোনীত করেন তাহলে আমি আশা করি বিপুল ভোটে “মেয়র” নির্বাচিত হবো।
বরগুনা পৌরসভার এক প্রবীন রাজনীতিবিদ বলেন, আমি জানি তিনি ছাত্র রাজনিতী থেকে শুরু করে গত – দুই যুগেরও বেশী সময় বরগুনা জেলা যু্বলীগের সভাপতি হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন- সাধারন সম্পাদক- হিসেবে সম্মানের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন।
আমরা চাই এসব যোগ্য নেতাকে মূল্যায়ন করা হবে এবং আগামী পৌর নির্বাচনে তাকে “মেয়র” পদে মনোনীত করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441