কুমিল্লা : কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে একজন আঙুলের ছাপ দিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করার পর অন্য কেউ তার হয়ে যেন বাটনে টিপ দিতে না পারে, সেটি নিশ্চিতের চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাতে কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে গোপন বুথ, যেখানে ঢুকে ভোটাররা তাদের প্রার্থী বাছাই করবেন, সেটি এই ক্যামেরার আওতার বাইরে থাকবে।
জানা গেছে, বুধবার (১৫ জুন) এই ভোট বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম পরীক্ষা। এদিন এই এলাকা ছাড়াও ১৩৫টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও একটি উপজেলায় ভোটের তফসিল দিয়েছিল কমিশন। তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও প্রার্থীদের আচরণ-হুমকি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ওপর হামলাসহ নানা ঘটনায় ৯টি এলাকায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। এর মধ্যে কুমিল্লা সিটি ছাড়াও পাঁচ পৌরসভায় ৫৯০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুমিল্লায় ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি ভোট-কক্ষের প্রতিটিতে বসানো হচ্ছে এই যন্ত্র।
কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, আমাদের কমিশন এ ব্যাপারে খুবই শক্ত। জোর করে ভোট আদায় করার সুযোগ নাই৷ নির্বাচনের দিন যদি কোনো তথ্য আসে যে অনিয়ম হয়েছে, তাহলে আমরা নির্বাচন বন্ধ করে দেব।
তিনি আরও বলেন, ‘সিসি ক্যামেরায় ভোটের আগের দিন থেকে ভোটের পরের দিন সকাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে রেকর্ডিং হবে। যদি কেউ অভিযোগ দেয় কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, ফলস ভোট দেওয়া হয়েছে, তাহলে আমরা দেখে কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারব।’
উল্লেখ্য, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থীসহ ১৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। ১০৫ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441