শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত গণপরিবহন চালুর দাবিতে রোববার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
রোববার বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি আগামী মঙ্গলবার সারাদেশের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন পরিবহন শ্রমিকরা।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালুর দাবি জানায় তারা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউন বিরুদ্ধে না। তবে এ লকডাউনে কথা ছিলো মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাচারি সব বন্ধ থাকার। সে অনুযায়ী, গণপরিবহন বন্ধ থাকলে আমাদের কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু সবকিছু খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখায় ৫০ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। গার্মেন্টস, শপিং মল, অফিস-আদালত খোলা রেখে কেবল গণপরিবহন বন্ধ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
পরিবহন শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান বলেন, সংগঠনটির নেতারা সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা বলেছি শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যেকোনো শাস্তি আমরা মেনে নেব—এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।
গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান, খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং তাদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন জারি করে সরকার। যা চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু ছিল।
এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন জারি করে সরকার। যা আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১৪ এপ্রিল থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441