গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৫০ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় এসব ফিলিস্তিনি নিহত হন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় আরও ৯,২০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। ৭২৪ শিশুসহ নিহতদের মধ্যে শত শত নারী রয়েছে।
চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলো ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রস।
আল জাজিরার সাংবাদিক উইলিয়াম মার্ক্স তেল আবিব থেকে বলেন, আমরা আজ সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে শুনেছি যে ইসরায়েল গাজার শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে যে তারা শনিবার হামলা চালিয়ে হামাসের বিশেষ বাহিনী নুখবা বাহিনীর এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর।
এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ইসরায়েলি।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোকাবেলা করতে মরিয়া হয়ে আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, মসজিদের মতো স্থাপনাতেও বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে।
হামাস যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম নামের সামরিক অভিযান শুরু করে তখন সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ওই সামরিক অভিযানের সময় রকেট নিক্ষেপ করে এবং ভূমি, সমুদ্র ও আকাশপথে ইসরায়েলে হামলা করে।
হামাস বলেছে, অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে এই আল-আকসা স্ট্রম নামের সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441