ঈদগাঁওতে বিলুপ্তির পথে গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যময় পুকুর : সংস্কারের নেই উদ্যোগ
logo
ঢাকা, বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদগাঁওতে বিলুপ্তির পথে গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যময় পুকুর : সংস্কারের নেই উদ্যোগ

এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
মার্চ ৯, ২০২১ ৮:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিলুপ্তির পথে ঈদগাঁওর গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পুকুর,দীঘি। পূর্বে চোখে পড়তো ছোট-বড় কতই পুকুরের। বড় বড় পুকুরে মানুষ আনন্দের সাথে গোসল করত। কালের আর্বতে ধীরে ধীরে এসব পুকুরের সেই ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। নেই কোন সংস্কার বা সংরক্ষনের উদ্যোগ।

জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় নানান স্থানে অনেকেই ভরাট করে দালানঘর নির্মাণ করছেন। ফলে বিলুপ্ত হচ্ছে পুকুরসহ ডোবা-নালা। অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ বাসা-বাড়ির ময়লা আর্বজনা পানি পাশ্ববর্তী পুকুরে পড়ে পানি দূষিত হচ্ছে। ঐসব পুকুরের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আগের তুলনায় এখন আর তেমন পুকুর চোখে পড়েনা। কক্সবাজার সদরের চিরচেনা ঈদগাঁও (চিচছিটি) পুকুর,ইসলামাবাদ হাঁসেরদিঘী পুকুর বাজারে টিএন্ডটি পুকুরসহ নানান গ্রামীন জন পদের পুকুর-জলাধার ঐতিহ্য হারিয়ে বিলুপ্তির পথে।

৯ মার্চ সকালে মাইজ পাড়া ঐতিহ্যবাহী এ পুকুর পরিদর্শনকালে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
স্থানীয় এক বয়োবৃদ্ব জানান, এই (চিচছিটি) পুকুরটি ৭/৮টি বছর ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এটি কয়জন ব্যাক্তি বিশেষের উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে ছয় কানি জায়গার বিশাল আকারের পুকুরটি বর্তমানে পাঁচকানি মত রয়েছে। বাকীটুকু ভরাট হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। একসময়ে পুকুরে প্রতিনিয়ত বৃহৎ এলাকার অসংখ্য লোকজন গোসল কিংবা নানা কাজকর্মে পানি ব্যবহার করত। হরেক রকম মাছের চাষাবাদ করা হতো। বর্তমানে সেই পুকুরটি তার নিজস্ব গতি হারিয়ে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান,পুকুরটিতে মাছ চাষ করে আয় করা সম্ভব হতো। নানা জটিলতার কারনে পুকুর টির বর্তমানে এহেন অবস্থা।

প্রাচীর জলাধার হাঁসেরদিঘী রক্ষায় মানববন্ধন ও করা হয়েছিল বহুপূর্বে। সেই সাথে ঈদগাঁও বাজারের মধ্যভাগে অবস্থিত পুরনো টিএন্ডটি পুকুরটিতে ব্যবসা প্রতিষ্টানের ময়লা আবর্জনা ফেলে দূর্ষিত করা হচ্ছে। এমনকি পুকুরের দুই পাশ ময়লার স্তুপে পরিণত হয়ে পড়েছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই।

সচেতন মহলের দাবী, এলাকাবাসী সচেতন হলে পুকুরের ঐতিহ্য ধরে রাখা সম্ভব হবে। পুকুরেই ময়লা আর্বজনা না ফেলে নির্দিষ্টস্থানে ফেললে একদিকে পরিবেশ রক্ষা পাবে,অন্যদিকে অতি প্রয়োজনে পুকুরের পানি ব্যবহার করা যেতো। সংরক্ষন করে যদি পুকুরগুলোতে মাছ চাষাবাদ করা হয়, তাহলে একটা বড় অংশের আয় করা সম্ভব হতো।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।