আজ ১৫ নভেম্বর ২০০৭। ভয়াবহতার ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আতঙ্কের দিন শেষ হয়নি উপকূলে। দীর্ঘদিনেও এসব এলাকার মানুষের নিরাপত্তায় নির্মাণ করা যায়নি স্থায়ী বাঁধ। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া এলাকার অরক্ষিত ছয় কিলোমিটার বাঁধ। এ জায়গা থেকে প্রতিবছর কয়েকবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার। প্রায় সময় পানিবন্দি থাকতে হয় ০৭ থেকে ১০ দিন। মাত্র ছয় কিলোমিটার এলাকায় নদীশাসন করে বেড়িবাঁধ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে সাময়িক সময়ের জন্য জোয়ারের পানির হাত থেকে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে পানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রিং বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয়রা বলছেন রিং বেড়িবাঁধ দিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা উপকার হলেও এটি স্থায়ী সমাধান নয়। নদীশাসন না করলে কোনো বাঁধই টেকসই হবে না।
স্থানীয়রা বলেন, সিডরে আপনজন হারিয়েছি, ঘর-বাড়ি, জমি-জমা হারিয়েছি। সিডরের পরে ছোট ছোট জলোচ্ছ্বাসে মূল্যবান সম্পদও হারিয়েছি। একটাই দাবি ছিল পায়রা নদী সংলগ্ন এলাকা বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। কিন্তু অন্যান্য জায়গায় সেই বাঁধ নির্মাণ হলেও আমাদের এলাকায় ছয় কিলোমিটার জুড়ে এখনও বাঁধ নির্মাণ হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া রিং বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রত্যেক বছরই একাধিকবার প্লাবিত হই আমরা। আমাদের একটাই দাবি এই ছয় কিলোমিটার এলাকায় নদীশাসন করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার বলেন, এখানে রিং বেড়িবাঁধে শুকনো মৌসুমে একটু ভাল থাকলেও বর্ষা মৌসুমে এটা কোনো উপকারে আসে না। সিডরের পরেও আমাদের এই ইউনিয়নের মানুষের কয়েকশ একর জমি পায়রা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা আর কিছু চাই না স্থানীয় জনগণকে তাদের বাপের ভিটায় রাখতে এই ভাংঙ্গন অংশে নদীশাসন করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানাই।
তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির বলেন, সিডর বিধ্বস্ত মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কাজ করেছে। তেতুলবাড়িয়া এলাকায় স্থায়ী ভেরিবাধ নির্মাণের জন নদী শাসন করে ছয় কিলোমিটার জায়গায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চলছে।
বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী বিপন সাহা বলেন, ওখানে সিইআইপি প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে। সেটা পাশ হলেই ঐ এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441