শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়।
রেজিস্ট্রার জানান, হাইকোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগ ডে উদযাপন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট পিটিশনের আদেশে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘র্যাগ ডে’ উদযাপনের নামে সব ধরনের অশ্লীলতা, ডিজে পার্টি, অশোভন আচরণ, নিষ্ঠুর ও নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড এবং বুলিং অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
সাধারণত কোনো ব্যাচের শিক্ষা সমাপ্ত হওয়ার পর র্যাগ ডে উদযাপন করা হয়। সাধারণত এটি অনার্স অথবা মাস্টার্স শেষে হয়ে থাকে। এটিকে অনেকে শিক্ষা সমাপনী উৎসবও বলা হয়ে থাকে।
এর আগে গত ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগ ডের নীতিমালা অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, র্যাগ ডের নতুন নাম হবে ‘শিক্ষা সমাপনী উৎসব’। এই উৎসব উদযাপনে শিক্ষার্থীদের মানতে হবে একগুচ্ছ নিয়ম।
গত ১৭ এপ্রিল ‘র্যাগ ডে’ উদযাপনের নামে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টিসহ অশ্লীল, উন্মত্ত, কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর কর্মকাণ্ড বন্ধে ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
মিশ্র প্রতিক্রিয়া
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছে অনেকেই। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশনার আগেই শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিকটুভাবে র্যাগ ডে উদযাপন বন্ধ করা উচিত ছিল।’
এছাড়াও ফেসবুকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলে বাহবা দিচ্ছেন।
আবার অনেকেই র্যাগ ডে উদযাপন বন্ধ হওয়ায় বিরূপ মনোভাব পোষণ করেছেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাই তো অশ্লীলতা করে না, গুটি কয়েকজনের কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা সবাই একটি স্মরণীয় মুহূর্তের অনুষ্ঠান উদযাপন থেকে বঞ্চিত হলাম।’
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441