বুধবার বিচারপতি এফ আর নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া জাহালমের ঘটনায় দুদককে সতর্ক করা হয়েছে।
শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আনিসুল হাসান ও সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ব্যাংক কর্মকর্তারা নিজেদের বাঁচাতে যেনতেনভাবে তদন্ত করে আবু সালেককে না ধরে জাহালমকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। অনভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া ছিলো দুদকের বড় ভুল। জাহালমের মতো আর কাউকে যেন বিনাদোষে জেলখাটতে না হয় বসে বিষয়ে শেষবারের মতো দুদককে সতর্ক করেছে হাইকোর্ট। পাটকল শ্রমিক জাহালমকে আসামি করে ঋণ জালিয়াতির ২৬ মামলায় জড়ানোর ঘটনায় ক্ষতিপূরণের রুলের শুনানি শেষে এসব কথা বলেছে হাইকোর্ট।
এসময় ঋণ জালিয়াতির মামলায় ২৬টি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিনা অপরাধে জেলখাটা জাহালম। তবে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন চান তিনি।
গত বছরের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না...’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া রুলও জারি করেন আদালত। পরে একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা আদালতে হাজির হলে হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেয়।