কক্সবাজারের টেকনাফে একটি চেকপোস্টে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন আইন সহায়তা সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) এক কর্মী।
২৬ বছর বয়সী ওই নারী এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় তিনি এককভাবে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার সাহস পাচ্ছেন না।
বিষয়টি ভিকটিম নারী ছেড়ে দিয়েছেন ব্লাস্টের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর। এদিকে ঘটনাটি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিটের মধ্যে নানামুখী তৎপরতা শুরু হয়েছে।
ভিকটিম ব্লাস্ট কর্মী গণমাধ্যমকে জানান, তিনি টেকনাফের হ্নীলা শাখায় কর্মরত ছিলেন। হ্নীলা এলাকাতেই তিনি বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার সকালে একটি মিটিংয়ে অংশ নিতে হ্নীলা থেকে টেকনাফে যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে ওই চেকপোস্টে পৌঁছালে দায়িত্বরত নারী সদস্যরা তল্লাশির নাম করে ব্লাস্ট কর্মীকে পোস্টের একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে পুরুষ সদস্যরা তাকে ধর্ষণ করেন। জ্ঞান ফিরলে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকি দেয় আইনশৃংলা বাহিনীর সদস্যরা।
পরে তিনি অফিসে গিয়ে বিষয়টি সহকর্মীদের জানিয়ে বাসায় চলে যান। পরদিন ব্লাস্টের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মানিক বিশ্বাস তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই নারী গণমাধ্যমকে আরও বলেন, আমি এখনও ট্রমার মধ্যে আছি। ব্লাস্ট কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ নেবে আমি ওই উদ্যোগের সঙ্গে একমত পোষণ করব।
এব্যাপারে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার থেকে ব্লাস্টের ওই নারী কর্মী আমাদের হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছেন। তার চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রশাসনের লোকজন তৎপর আছে। ভিকটিমের সোয়াব ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে ব্লাস্টের কো-অর্ডিনেটর মানিক বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি সত্য। কিন্তু আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। আমরা চাপে আছি।
ব্লাস্ট কক্সবাজারের প্রকল্প সমন্বয়কারী তুষার রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিম হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে মামলা করতে পারেন। তিনি মামলা করলে আমরা তাকে সব ধরনের আইনগত সহায়তা দেব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441