পাহাড়ি মেয়ে লাকিং মে’কে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন আতাউল্লাহ। বিয়ের পর লাকিং মের নাম দেন হালিমাতুস সাদিয়া। তাদের সংসারে একটি মেয়ে রয়েছে। হঠাৎ ওই তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। গত ১০ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মুমূর্ষু লাকিং মে’কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামী আতাউল্লাহ। সেখানে চিকিৎসকরা ওই তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর ওই তরুণীর লাশ দাবি করেন তার বাবা। তিনি বৌদ্ধ ধর্মমতে মেয়ের লাশের বিহিত করতে চান। স্বামী আতাউল্লাহ স্ত্রীর লাশ দিতে চান না। তিনি ইসলামী শরীয়া মোতাবেক লাশ দাফন করতে চান।
এ অবস্থায় ধর্মীয় পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় কক্সবাজার হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে ওই তরুণীর লাশ। কে পাবে ওই তরুণীর লাশ? কোন ধর্মে সমাহিত হবে সে? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেলেও এখন আদালতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে সবকিছু। শেষ পর্যন্ত আদালত র্যাবকে দায়িত্ব দিয়েছে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য।
জানা গেছে, স্বামী আতাউল্লাহ গত ১০ ডিসেম্বর রাতে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মুমূর্ষু লাকিং মে’কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে যান তার স্বামী আতাউল্লাহ। হাসপাতালে তার বিষপানের আলামত দেখে চিকিৎসকরা তার পাকস্থলী পরিস্কার করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে তার লাশ হস্তান্তরে দেখা দেয় জটিলতা। কারণ ওই তরুণীর বাবা লালা অং ও স্বামী আতাউল্লাহ পৃথকভাবে লাশ দাবি করছেন। যেকারণে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাউকে লাশ দেয়নি। তারা সিন্ধান্তের জন্য আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম জানান, গত ১০ ডিসেম্বর সদর হাসপাতাল থেকে অপমৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ লাশ গ্রহণ করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে। এসময় স্বামী আতাউল্লাহ ও পিতা লালা অং লাশ দাবি করায় পুলিশ আদালতের শরনাপন্ন হয়। আদালত কাকে মরদেহ হস্তান্তর করবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিতে না পারায় মরদেহটি পুলিশি হেফাজতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441