বরগুনার তালতলী উপজেলাতে শুরু হয়েছে বোরো আবাদ। পুরোদমে প্রস্তুত বীজতলা, জমি। চলছে রোপণ কাজ।
এই উপজেলায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।বাজারে ধান চালের দামও ভাল। আর এই কারণে ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে বোরো আবাদে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে। উন্নতমানের বীজ ও সার সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে চলছে নিবিড় তদারকি। প্রান্তিক চাষীদের প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে এবার বোরোর আবাদ রের্কড ছাড়াবে।
উপজেলার প্রান্তিক চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কৃষি অফিস থেকে হাইব্রিড জাতের বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সারেরও কোন সঙ্কট নেই।
নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের তাতিপাড়া গ্রামের চাষি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিলে আবাদ শুরু হয়ে গেছে। শীতের প্রকোপ বিশেষ করে কুয়াশা বেশি না হওয়ায় বীজতলার কোন ক্ষতি হয়নি। নদী, খাল, নালায় পর্যাপ্ত পানিও পাওয়া যাচ্ছে।
সোনাকাটা ইউনিয়নের ছোট আমখোলার চাষী ইলিয়াছ বলেন,গতবছর ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছিলাম। এবছর ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। বোরো ধানে ভালো লাভ পেয়ে এবার আগ্রহ বেড়েছে।
তালতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আরিফুর রহমান বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি আগে লোনা পানির আগ্রাসনের কারণে সমুদ্র তীরবর্তী এ উপজেলায় বোরো আবাদ ব্যাহত হলেও এবার এমন সমস্যা নেই। এবারের বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদী, খালে ও নালায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ রয়েছে। ফলে নদী,খালে ও নালায় থাকা পানির লবণাক্ততা এখনও পর্যন্ত সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো চাষে ঝুঁকছেন রেকর্ড সংখ্যক কৃষকরা। গত বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০০ হেক্টর। এ বছর গত বছরের তুলনায় পাঁচ গুন বেশী জমিতে কৃষকরা বোরো আবাদ করছে। এ বছর এক হাজার কৃষককে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ সরবরাহ করেছি। সরকার দক্ষিণাঞ্চলে বোরো ধান চাষে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে তালতলী উপজেলা কৃষি অফিস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441