বরগুনার তালতলীতে জমিজমা বিরোধের জের ধরে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে পুলিশের সামনেই কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ওয়াজেদ তালুকদার এর বিরুদ্ধে। আহত ছাত্রলীগ নেতা উপজেলার কড়রইবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল সরদার।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে করড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নের হেলেঞ্চাবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, রেজাউল সরদার (২৭) বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী সরদার (৭০) ভাই কাউসার সরদার (২২) আত্মীয় মাসুম সরদার (৩৭) ও মোজাম্মেল সরদার(৫২)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া মেডিকেল কমপ্লেক্সে রেফার করেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশরাফ আলী সরদারের ক্রাইকৃত জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ ওয়াজের তালুকদার গং এর সঙ্গে ঝামেলা চলছে। আদালতের রায়ও আশরাফ আলী সরদারের পক্ষে এসেছে। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ মীমাংসায় আশরাফ সরদারের পক্ষে রায় হয়।
ঘটনার সময় ওই জমিতে ধানের চারা রোপন করতে গেলে ওয়াজের তালুকদার তাতে বাধা দেয়। এসময় তালতলী থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম ও সঙ্গে ফোর্সের উপস্থিতিতেই ওয়াজের তালুকদার, ইউসুফ তালুকদার, ইউনুস তালুকদার, হেমায়েত তালুকদার, ফেরদাউস তালুকদার, মজিবর তালুকদার, রাসেল তালুকদার, আশরাফ আলী তালুকদার সহ প্রায় ৭-৮ জনে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
ঘটনার বিষয়ে ওয়াজের তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন আমি আপনাদের সাথে সামনাসামনি দেখা করব।
তালতলী থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় আমি ও একজন ফোর্স উপস্থিত ছিল। এক পক্ষ চাষাবাদ করতেছিল অন্য পক্ষ তাতে বাধা দেয় এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয় একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যেই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হই।
তালতলী থানার (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441