বরগুনার তালতলীতে এক আনসার কমান্ডার বলাৎকার (ধর্ষণ) করতে গিয়ে জনতার হাতে গন ধোলাই খেয়েছেন আর সেই গন ধোলাইর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখাগেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, কড়ই বাড়িয়া ইউনিয়নের আলীর বন্দর গ্রামের মৃত্যু মোতাহার মিয়ার পুত্র মো.কুদ্দুস, এলাকায় তিনি কুদ্দুস কমান্ডার ও জ্বীন কুদ্দুস নামে পরিচিত। ছাত্র ও যুবকদের বলাৎকারের (ধর্ষণ) ভয়ানক নেশা তার। এই বিকৃত নেশায় এমনই আচ্ছন্ন ছিল প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কৌশলে তিনি শিশু থেকে যুবকদের বলৎকার করতেন বিদেশ গামী এক যুবককে হরমোন টেস্টের কথা বলে বলৎকার করতে গিয়ে জনতার গন ধোলাইর শিকার হন। আর ঐ গন ধোলাইর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। ভিডিওতে দেখা গেছে কয়েকজন যুবক তাকে ধরে গণধোলাই দিচ্ছে আর কুদ্দুস তাদের পায়ে পরছেন।
এর কিছুদিন আগেও এক সুইপার যুবককে বলৎকার করে আহত করেন।জানাগেছে কুদ্দুস জ্বিন ছাড়ানোর কথা বলে অনেক নারীর সর্বনাশ করেছেন।আর চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মো. কুদ্দুস মিয়া জানান, এলাকার মাদকসেবি ও মাদকবিক্রেতাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেওয়ার কারনে। তারা আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আর ছোট সময় আমার উপর জ্বিনের আসর ছিল তাই অনেক জ্বিন কুদ্দুস বলে। আর চাকরি দেওয়ার নাম করে কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়শা নেইনি।তবে আমার এক শিক্ষক আমার কাছে টাকা পেতেন তিনি মামলাও করেছিলেন তার টাকা দিয়ে দিয়েছি। আরএকজন ফায়ার সার্ভিসে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন সে বিষয় জানি। বলাৎকারের ভিডিওর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মাদক ব্যবসায়িরা আমাকে মারধর করে ঐ ভিডিও করেছে।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো.আবদার মোল্লা বলেন, আমাদের কাছে কুদ্দুস মিয়ার নামে অনেক অভিযোগ আসছে, আর আমিও ভিডিও পেয়েছি এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে, তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয় তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন,আমরা এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441