বরগুনার তালতলীজে জমিজমার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মসজিদে নামাজ বন্ধ ও পেটের বাচ্চা হত্যার বিচারের দাবি করেছে ভুক্তভোগি রত্তনের পরিবার। তালতলী সাংবদিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা দাবি করেন।
জানা যায়, উপজেলার সওদাগরপাড়া এলাকার রত্তন খানের সাথে একই এলাকার রফিক বেপারীর সাথে র্দীঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে গত চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রত্তন খান তার নিজের জমি চাষাবাদ করার সময় পূর্ব শক্রতার জের ধরে রফিক বেপারী,ইসমাইল,ফারুক,রাসেল রুবেলসহ ১০ থেকে ১৫ জন ভারাটে সন্ত্রাসীরা দলবল নিয়ে রত্তনের পরিবারের সাথে এসে অহেতুক তর্কে জরিয়ে পরে এবং তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন প্রকারের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। সেখানে জীবন বাচানোর জন্য ভয় পেয়ে পালিয়ে আনে তারা। এর পরে সন্ত্রাসীরা পিছু ধাওয়া করে রত্তনের বাড়ীতে এসে খুজতে থাকে। ঐ সময় রত্তসের স্ত্রী রান্না ঘরে রান্না করতেছিলো। পুরুষদের না পেয়ে সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়ে তার স্ত্রীকে টেনে হিছরে বাহিরে নিয়ে তার শরীরে বিভিন্ন যায়গায় আঘাত করে। এই মারামারি ফিরাতে রত্তনের ছোট ভাইর স্ত্রী তাসলিমা বেগম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তখন রুবেল তাছলিমার পেটে লাথি মারে যার ফলে তাছলিমার গর্ভে থাকা ৩/৪ মাসের বাচ্চা সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যায়। এই ঘটনার পরে আহতদের চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে যেতেও বাধা দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।এই ঘটনার পরপরই রত্তন খানের বাড়ির সামনে মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এইক সাথে স্থানীয় মুসুল্লীদেও নামাজ পড়া ২ মাস ধরে বন্ধ করে দেন রফিক বেপারী। বর্তমানে মসজিদটি বন্ধ রয়েছে। ভুক্তভোগি পরিবারের দাবি পেটের বাচ্চা হত্যা ও মসজিদে নামাজ বন্ধের বিচারের দাবি করেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে থানায়।
মসজিদে নামাজ ঈমাম মো. তাহীর নাজির বলেন, রত্তন খানের বাড়ির সামনের মসজিদে আমি নামাজ পড়াইতাম কিন্ত রফিক বেপারী সেই নামাজ বন্ধ করে দিছে। এখন মসজিদে নামাজ বন্ধ আছে। শুনেছি তাদের সাথে জমিজমা নিয়ে ঝামেলা চলে।
এবিষয়ে রফিক বেপারী মুঠো ফোনে জানতে চাইলে ফোনটি তার স্ত্রী রানী বেগম ধওে এবিষয়ে বলেন, মসজিদের কাজ চলমান আছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ছে মুসুল্লীরা। মসজিদে যে জায়গা আমরা পাইতাম তা দান করে দিছি। কিন্তু রত্তন খানের সাথে জমিজমা নিয়ে ঝামেলা আছে।