বরগুনার তালতলীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে নজরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসি।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের সাথে হারুন মোল্লাসহ তাদের পরিবারের রাজনৈতিক ও কৃষিজমিতে পানি দেওয়া নিয়ে বিরোধ চলে আসছে র্দীঘ দিন যাবৎ। গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পরে গত ৬ আগষ্ট নজরুল ইসলামের মাছের ঘের লুটপাটের অভিযোগে হারুন মোল্লাসহ সহযোগি বড়বগী ইউনিয়নের সওদাগার পাড়া এলাকার রাসেল ও ইমরান সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরই জের ধরে ঐ মামলার আসামী শাহ আলমের ভাতিজা ও ইমরানের ভাই বাদল হাওলাদার গত ১৪ নভেম্বর আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়ির ঘোয়াল ঘরে থাকা দুইটি গরুর পায়ের রগ কাটার অভিযোগ তুলেন নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পরে এ ঘটনায় ১৫ নভেম্বর নজরুল ইসলাম ও আলম খানসহ ৩-৪ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন শাহ আলমের ভাতিজা ও ইমরানের ভাই বাদল হাওলাদার। ঘটনায় তালতলী থানা পুলিশ নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে ফুসে উঠে কবিরাজ পাড়া এলাকার মানুষ। এই মিথ্যা মামলা থেকে নজরুল ইসলাম ও আলম খানকে মুক্তি দিয়ে ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি এলাকাবাসির।
কবিরাজপাড়া ও সওদাগার পাড়া এলাকার মো.ফরিদ,নাজমা,ফাতেম ও সুফিয়াসহ একাধিক মানুষ জানায়, রাতের অধারে কে বা কারা গরুর রগ কেটেছে আল্লাহ্ জানেন। এতে পূর্ব শত্রুতার জেরে নজরুলকে আসামীকে করা হয়েছে। নজরুল এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আমরা এই মিথ্যা মামলার তিব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী কাকলি বেগম জানান, আমার স্বামী মামলা করার পরেই হারুন মোল্লাসহ অন্য আসামিরা বিভিন্ন সময় মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। তাই নিরাপত্তার জন্য সন্ধ্যার দিকে তিনি বাসায় আসতেন ও রাতে আর ঘর থেকে বের হতেন না। আগামী ১৮ নভেম্বর আমাদের ওই মামলার হাজিরা ছিল। ওই হাজিরায় যাতে বাদী কোর্টে যেতে না পারে সে জন্য আমার স্বামীকে ফাঁসাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
নজরুল ইসলামের বাবা হাজী আব্দুস সালাম বলেন, হারুন মোল্লা বিভিন্ন সময় প্রভাব বিস্তার করে এলাকা মানুষদের লাঞ্চিত করেছে। আমাকে কয়েকবার লাঞ্ছিত করেছে। আমার ছেলের মাছের ঘের লুট করে মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমার ছেলে মামলা করায় ওর উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে হয়রানি করছে।
এ বিষয় মামলার বাদী বাদল হাওলাদার বাড়িতে গেলে, তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে হারুন মোল্লা বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে নজরুল মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তাছাড়া গরুর রগ কাটার ঘটনা অন্য গ্রামে। সেই ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। ঐ বাদলের সাথে নজরুলের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে। সেখানে গরুর রগ কাটার মামলা মামলা হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি কালাম খান বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিক্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিবো।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441