বরগুনার তালতলীতে মাদক বেচাকেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মো. আরাফাত খান (২২) নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাংবাদিক ফয়সাল সিকদারকে আসামি করার প্রতিবাদে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তালতলী প্রেসক্লাব।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় নিন্দা জানানো হয় এবং দ্রুত মামলা থেকে সাংবাদিক ফয়সাল সিকদারের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সাংবাদিক ফয়সাল সিকদার চ্যানেল এস ও জবাবদিহি পত্রিকার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি এবং তালতলী টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি।
এ সভায় বক্তারা বলেন, একটি হত্যা মামলায় একজন পেশাদার সাংবাদিককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় হুমকি। তাই অতি দ্রুত মামলা থেকে সাংবাদিক ফয়সাল সিকদারের নাম প্রত্যাহার করতে হবে।
জানা গেছে, উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদ্য বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আরাফাত সিকদার ও তার আপন ভাই সোহেল সিকদার, এবং তার চাচতো ভাই বাইজিদ সিকদারের সাথে মো. আরাফাত খানের সাথে মাদক বেচাকেনা নিয়ে কথার কথা-কাটাকাটি হয়। পরে গত শনিবার রাতে আরাফাত তার প্রতিবেশী হাবিব উল্লাহকে নিয়ে কচুপাত্রা বাজারে যাচ্ছিলেন-এ সময় ছাত্রদল নেতা আরাফাত সিকদারের নেতৃত্বে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এঘটনায় আরাফাত খানর পিতা জলিল খান বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সাংবাদিক ফয়সাল সিকদারকে ৪ নাম্বার আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিক ফয়সাল শিকদার বলেন, এই হত্যাকান্ড নিয়ে আমি পত্রিকা ও টেলিভিশনে নিউজ প্রকাশ করেছি। একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে এ মামলায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে ৪নং আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ছে।
তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো.খাইরুল ইসলাম বলেন, এই হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য একটি কুচক্রী মহল এই সাংবাদিককে জড়িয়ে দিয়েছেন। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ মামলা হতে দ্রুত সাংবাদিক ফয়সাল সিকদারকে অব্যাহতি দেওয়ার জোর দাবি জানান পুলিশ প্রশাসনের প্রতি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441