জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। ধর্মঘটে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের নানা ভোগান্তি মাথায় নিয়ে আসতে হচ্ছে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায়। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, থ্রি হুইলারে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসছে মানুষ।
এদিকে ধর্মঘট চললেও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে দৌলতদিয়ায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ঢাকামুখী পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ট্রাক ২৪-৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ফেরির নাগাল পাচ্ছে।
রোববার (০৭ নভেম্বর) সকালে ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ির সারি। এর মধ্যে বেশির ভাগই পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক আর জরুরি কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যান। কিছু কিছু খোলা ট্রাকে যাত্রী পরিবহন করতেও দেখা গেছে।
মাগুরা থেকে আসা সজল সিকদার নামে এক যাত্রী বলেন, ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম। ছুটি শেষ হওয়ায় আবার কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। কিন্তু ধর্মঘটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে ভোগান্তি নিয়েই ঘাটে আসতে হয়েছে। ফেরি পার হয়ে ওপার গিয়ে কিভাবে যাব বুঝতে পারছি না।
পাংশা কলিমহর থেকে আসা আরেক যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসার জন্য বাবাকে নিয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে। কিন্তু পরিবহন বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে ঘাটে আসতে হয়েছে। সামর্থ্য না থাকায় গাড়ি ভাড়া করতে পারিনি। যত দুর্ভোগ আমাদের মধ্যবিত্তদের।
সাতক্ষীরা থেকে আসা ট্রাকচালক সবুজ মন্ডল বলেন, ফেরির জন্য ঘাট এলাকায় দুদিন অপেক্ষা করছি। পরিবহন না থাকলেও ট্রাকের চাপ থাকায় দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। আমাদেরও ভোগান্তির শেষ নেই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে এই রুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। তারপরও উভয় প্রান্তেই ঘাট সংকট রয়েছে। আবার পণ্যবাহী ট্রাকের চাপও রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441