স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে একটু উঠে দেখতে এই সেতুর মাওয়া প্রান্তে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই কিছু সময়ের জন্য পদ্মা সেতুতে মানুষের ওঠার সুযোগ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। দেখা শেষে আবার সেতু থেকে নামিয়ে দেয় মানুষজনকে।
এ সময়ে অনেকেই পদ্মা সেতুতে উঠতে পারলেও যারা উঠতে পারেননি, তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেতুর গোড়ায় দাঁড়িয়ে সেতুতে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছেন। পরে নিরাপত্তাবেষ্টনী তারের বেড়া ভেঙে তারা ভেতরে ঢুকে পড়েন স্বপ্নের সেতু দেখতে।
শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে সেতুর উত্তর প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ অবস্থান নিয়েছেন সেতুতে ওঠার অপেক্ষায়। যদি আবার ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়, সেই প্রতীক্ষায়ও তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন।
পদ্মা সেতুর নিরাপত্তাবেষ্টনীর ওপর দিয়ে শত শত মানুষ ওপরে ওঠা রোধ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধাওয়া দিলে নিরাপত্তা বেষ্টনীর পার হয়ে আবার সেতুর নিচে নেমে আসেন তারা। এ সময় ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়েন অনেকে।
পদ্মা সেতু দেখতে আসা সেলিনা করিম বলেন, আমার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে। থাকি ধানমন্ডিতে। ২০১০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি স্পিডবোট দিয়ে মাদারীপুরের শিবচর থেকে পদ্মা নদী হয়ে ঢাকা ফেরার পথে ছেলেকে নিয়ে নদীতে ডুবে যাই। পরে পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে। সেই থেকে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক স্বপ্ন ও কল্পনা ছিল। আজ সেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবর শুনে ছুটে এসেছি ছেলেকে নিয়ে দেখতে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও উঠতে না পেরে হতাশ হয়েছি।
কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলা থেকে পদ্মা সেতু দেখার জন্য ভোর রাতে রওনা দেন জাকারিয়া। পথে শত বাধা পেরিয়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি সেতু এলাকায় পৌঁছান।
জাকারিয়া বলেন, অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম পদ্মা সেতুতে উঠব, হেঁটে দেখব। সকাল ১০টা থেকে অপেক্ষায় থেকেও সেতুতে উঠতে পারিনি। এখন অপেক্ষায় আছি, যদি একটু উঠতে পারি সেতুর ওপর।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441