পাথরঘাটা উপজেলার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বৈরাগী বাড়ির মন্দিরে প্রতিমা মুকুট বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে পবিত্র কালিমা খচিত বইয়ের মলাট। তাতে আরবিতে লেখা রয়েছে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রতিমা'কে পিকাবে তোলার সময় স্থানীয় এক মুরুব্বির দৃষ্টি পরে প্রতিমার মুকুটের দিকে তিনি দেখতেপান প্রতিটি মুর্তির পিছানে প্লেকার্ড আবরি বইয়ের মলাট দিয়ে তৈরি তাতে আরবিতে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ" লেখা রয়েছে। তিনি বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজন কে দেখালে মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায় প্রতিমার মুকুটের পিছনের অংশে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নবম-দশম শ্রেনীর কুরআন মাজীদ বইয়ের মলাট দিয়ে নকশা তৈরি করে প্রতিমার মুকুট হিসেবে ব্যাবহর করা হয়েছে। যাতে আরবি অক্ষরে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ" লেখা রয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে মন্দির কমিটির সভাপতি বাসুদেব শীল ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অরুন কর্মকার। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা হাতজোড় করে নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন দেশবাসীর কাছে।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অরুন কর্মকার বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত ও লজ্জিত এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য। যিনি এই মূর্তির কারিগর তার ভুলের জন্যই আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম ভুল যাতে নাহয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখাবো।
জামাতে হিজবুল্লাহ্'র পাথরঘাটার সাধারণ সম্পাদক মো.সেলিম আজাদ আলেম-ওলামাদের পক্ষে তিনি বলেন, প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা সুষ্ঠু সমাধান পেয়েছি। প্রশাসনের মাধ্যমে আজকে ক্ষমা চাওয়াকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
ইসলামি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে যদি এরকম প্রতীয়মান হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা গোলাম করির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহাগ, পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441