পেটে লাথি মেরে নারীকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় পৌর শহরের উকিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
তবে পুলিশের দাবি, বিবাদমান দুই পক্ষের লোকজনই পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। এঘটনায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ফেরদৌস স্মৃতি সংঘ ক্লাবের খালি জমি রয়েছে। শনিবার সকালে ওই জমিতে বাঁশ, টিন দিয়ে বেড়া দেয় একই এলাকার সোবহান মিয়া। এসময় স্থানীয় নারী ইয়াসমিন দিপা তার ছেলেসহ কয়েকজনকে নিয়ে ক্লাবের জমিতে গিয়ে সোবহানের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় উভয়পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌছান। পরে উভয়পক্ষ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে দেশ ও সাগর নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিরোধীয় দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি হয়।
উকিলপাড়া এলাকার মফিউদ্দিনের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৫৫) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত নারীসহ সবাইকে গালিগালাজ করে পুলিশ। এসময় ওসি আমার পেটে লাথি মেরে আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেহানা পারভিন লিপা বলেন, ক্লাবের জায়গাটা আমাদের। সোবহান জমিটা দখল করার পাঁয়তারা করছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। পুলিশ আমার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছে। এমনকি ঘটনার মূলহোতা সোবহানকে আসামি না করে পুলিশ আমাকে মামলার আসামি করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, তারা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আমি কাউকে কোনো কিছু বলিনি। বরং তারাই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441