সবকিছু ঠিকঠাক, কিন্তু হুট করে চিনচিন পেট ব্যথা শুরু হলো। কী করবেন বুঝছেন না। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা নেওয়ার আগে ব্যথা একটু কমানো দরকার। তাই পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া জানা থাকলে সহজ।
কারো অসুস্থতাবোধ হলে কিংবা রোগ দেখা দিলে ইসলাম চিকিৎসা নিতে উৎসাহ দিয়েছে। পাশাপাশ বিভিন্ন দোয়া ও আমলও বাতলে দিয়েছে। রাসুল (সা.) থেকে প্রচুর দোয়া-আমল হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
পেট ব্যথায় যে দোয়া পড়বেন
উসমান ইবনে আবুল আস আস-সাকাফি (রা.)-এর ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে, তিনি একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে পেটের ব্যথার কথা জানান। তিনি বলেন, ব্যথা আমাকে অস্থির করে তুলেছে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার ব্যথার স্থানে ডান হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লাহ বোলো। এরপর সাতবার বোলো-
أعوذُ باللهِ و قُدرتِه من شرِّ ما أَجِدُ و أُحاذِرُ
উচ্চারণ : ‘আউজু বি-ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু।’
অর্থ : আল্লাহর মর্যাদা ও তার কুদরতের উসিলায় আমি যা অনুভব এবং ভোগ করছি, তা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।
উসমান (রা.) বলেন,
‘আমি এই রূপ করার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ আমার কষ্ট দূর করে দেন। এরপর থেকে আমি পরিবার-পরিজন ও অন্যদের এরকম করার নির্দেশ দেই।’
(মুসলিম, হাদিস : ৪১৯৯; আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৫১)
সুস্থ হওয়ার দোয়া
আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো রকম অসুস্থতা অনুভব করে অথবা কোনো ভাই অসুস্থতা কিংবা অস্বাভাবিকতা অনুভ করে; তখন সে যেন এই দোয়াটি পড়ে, তাহলে সে সুস্থ হয়ে যাবে-
ربنا الله الذي في السماء تقدس اسمك، أمرك في السماء والأرض، كما رحمتك في السماء فاجعل رحمتك في الأرض، اغفر لنا حوبنا وخطايانا أنت رب الطيبين، أنزل رحمة من رحمتك وشفاء من شفائك على هذا الوجع
উচ্চারণ : রাব্বুনাল্লাহুল লাজি ফিস সামা-ই তাকাদ্দাসা ইসমুক, আমরুকা ফিস সামা-ই ওয়াল আরদ্ব, কামা রাহমাতুকা ফিস সামা-ই, ফাজআল রাহমাতুকা ফিল আরদ্ব, ইগফির লানা হুউবানা ওয়া খাতা-য়া-না আনতা রাব্বুত তাইয়িবিন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা, ওয়া শিফাউম মিন শিফা-ইকা আলা হাজাল ওয়াজ-ই।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, যিনি আসমানে রয়েছেন। আপনার নাম সম্মানিত, আসমান-জমিনে আপনার কর্তৃত্ব, আসমানে যেমন আপনার রহমত তেমনি জমিনেও বর্ষণ করুন। আমাদের পাপ ও গুনাহ মার্জনা করুন। আপনি সুস্থ-সৎদের প্রতিপালক, আপনার বিপুল রহমত থেকে রহমত বর্ষণ করুন। এই ব্যথা-যন্ত্রণায় আরোগ্য দান করুন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৯২; নাসায়ি, হাদিস : ১০৮৭৬)