বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০০০ সালের পর নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী লোকেরা সবচেয়ে বেশি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।
নিয়মিত চেক আপ আর সতর্কতা মেনে রোজকার জীবনযাত্রায় কিছু বদল আনলে আচমকা মারাত্মক স্ট্রোকের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এবার জেনে নেয়া যাক, কী কী কারণ স্ট্রোক ডেকে আনতে পারে।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন-
১) আচমকা শরীরের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়া।
২) হঠাৎ এক চোখে বা দুই চোখেই দৃষ্টি হারিয়ে ফেলা।
৩) মুখের এক দিক বেঁকে যাওয়া।
৪) কথা বলতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যাওয়া।
৫) বাহুতে ব্যথা হওয়া।
চিকিৎসকদের মতে, এই সব লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী ভালো হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। স্ট্রোক হওয়ার পর তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় রোগী সঠিক চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। তাই সময় একেবারেই নষ্ট করা যাবে না।
কেন বাড়ে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি-
>>> খিদে পেলেই প্যাকেটবন্দি নোনতা কুকিজ বা চিপ্স নিজেও যেমন খাচ্ছেন, শিশুকেও কিনে দিচ্ছেন অনবরত। কিন্তু এ সবে মিশে থাকা অতিরিক্ত লবণ যে নিঃসাড়ে স্ট্রোক ডেকে আনছে, তা কি জানেন? অতিরিক্ত লবণের প্রভাবে রক্তচাপ বাড়ে এবং তা মস্তিষ্কে রক্ত সংবহনে বাধা দেয়। ফলে আজই রাশ টানুন অতিরিক্ত লবণ মেশানো খাবারে।
>>> প্রাতরাশে নিয়মিত সিরিয়াল জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকে। এই সব সিরিয়ালে কিন্তু অতিরিক্ত চিনি থাকে। তা ছাড়া রোজের ডায়েটে অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, কেক, কুকিজ, পেস্ট্রি রাখাও ভালো না। এতেও বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি।
>>> ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত ২০১৯-এর একটি গবেষণা বলছে, মদ্যপান করেন না ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান তারা স্ট্রোকের থেকে অনেকটাই নিরাপদে থাকেন। তুলনামূলক ভাবে মদ্যপায়ীরা রয়েছেন বিপদে।
>>> শরীরে ভিটামিন সি-এর কোনো অভাব পড়ছে কিনা, সে দিকেও কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে। হেমোরহ্যাজিক স্ট্রোককে ডেকে আনে এই ভিটামিনের ঘাটতি। পাতে রাখুন ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার।
>>> একটু-আধটু ব্যথাবেদনা হলেই মুঠো মুঠো বেদনানাশক ওষুধ খান? এতে থাকা স্টেরয়েড ভাস্কুলার ডেথ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো অসুখের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। কাজেই অতিরিক্ত এ সব খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করুন আজই।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441