বরগুনার তালতলীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে হাসপাতালে ভর্তির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মরানিদ্রা এলাকায় জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার নাসিরের সঙ্গে বাদলের সাথে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধী জমিতে গত ২৭ এপ্রিল বিকালে বাদল মাটি কাটছিলো এতে নাসির বাধা দেয়ে। এতে উল্টো নাসির কে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। এক নাসির পর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল খান ও এমাদুলকে জানাতে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষ কে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেন। দুই পক্ষই সমাধানে বসার জন্য আগ্রহী হয়। পরে নাসিরের ডাকে কে এমাদুল গেলো এবিষয়ে বাদল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে স্থানীয় এমাদুলকে নিয়ে কটুক্তি মূলক কথা বলে । এই বিষয়টি এমাদুলের ছেলেরা ফেজবুকে দেখে বাদলের কাছে জিজ্ঞেস করতে যায়। তখন দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়। এক পর্যায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে দুই পক্ষকে সরে যেতে বলে ও থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। পরের দিন শুক্রবার ২৮ এপ্রিল বাদল ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি স্থানীয়দের ভেতরের আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী চান মিয়া বলেন, মারধরের পরে আমার সাথে দেখা হয় বাদলের। তখন বাদল সম্পূর্ণ সুস্থ ও গায়ে কোন কাঁটা ছেড়ার দাগ নেই। ঘটনার পরের দিন শুক্রবার নাকি সে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আল্লাহ জানে কিভাবে মাথা ফাটলো।
প্রত্যক্ষদর্শী হানিফ খান,ফিরোজা বেগম ও খলিলুর রহমানসহ একাধিক স্থানীয়রা জানান, মারধরের সময় বাদলের গায়ে কোন আঘাত লাগেনি। তবে মারধর তেমন হয়নি দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। মারধরের পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখে বাদল সম্পূর্ণ সুস্থ। পুলিশের সাথে কথাও বলেছে। তবে ঘটনা বৃহস্পিতার ঘটেছে কিন্তু বাদল ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে শুক্রবারে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে । প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই ব্লেড দিয়ে মাথা কাটার নাটক করেছে বাদল।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মজনু বলেন, আমি ঘটনার ২০ মিনিট পরে ঘটনাস্থলে আসি তখন দুই পক্ষকেই পুলিশ সমাধানের জন্য বলে, এরপর দুই পক্ষ দুই দিকে চলে যায়। কোনো পক্ষের কেউ হতাহত হয়নি। পরের দিন শুক্রবার বিকেলে বাদল হাসপাতালে মাথা কেটে ভর্তি হয়েছে।
এ বিষয়ে এমাদুল বলেন, আমাকে নাসির ডেকে নিয়েছে তার জমি থেকে বাদল মাটি কাটে। আমি যাওয়ার পর আমাকে বাদল কুটুক্তি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে গালিগালাজ করেছে। তখন ফেসবুকে দেখে আমার ছেলেরা তাদের জিজ্ঞেস করতে গেলে উল্টো তারা আমার ছেলেদের ওপর হামলা করেন। আমাদের ফাসাতে বাদল নিজের মাথা নিজে কেটে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
বর্তমান ইউপি সদস্য জামাল খান বলেন,মারধরের পরে আমি ঘটনাস্থলে গেছি। তখন আমি মাথা ফাটা বা কাঁটা দেখিনি কারও বিরুদ্ধে আমি মিথ্যা বলতে পারব না।
এ বিষয়ে বাদলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441