বরগুনার তালতলীর ফকিরহাটে পূর্ণাঙ্গ মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি কেন্দ্র হওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে মৎস্যজীবীরা। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ফকিরহাটে উপ-মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি কেন্দ্র হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১০টার দিকে উপজেলার ফকিরহাটে উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের অফিসের সামনে সামনে কয়েক হাজার মৎস্যজীবীসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নারী-পুরুষ মানববন্ধন করেন। পরে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে বিএফডিসি চেয়ারম্যান বরাবরে পূর্ণাঙ্গ মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি কেন্দ্র হওয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ দাবির সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেন তালতলীর উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়ন, ফকিরহাট মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি, মৎস্য বাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নসহ একাধিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ফকিরহাট মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি সভাপতি ও সোনাকাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আকন,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফারুফ রায়হান তপু, মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মজিবর ফরাজী,ছাত্রলীগের সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু, উপজেলার সকল সেচ্ছাসেবি সংগঠণের আহবায়ক জিয়াউল হক রুবেল ও সাংবাদিক ফোরামের সম্পাদক হাইরাজ মাঝী প্রমুখ।
বক্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা এখানের মৎস্যজীবীদের সুবিধার্থে এবং দেশের রাজস্বের স্বার্থে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) ফকিরহাট উপ- মৎস্য অবতরণ ও পাইকারী মৎস্য বাজার স্থাপন করেন। এই ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ দেশের বড় একটি অর্থনীতির ভূমিকা রাখছে এখানকার মৎস্যজীবীরা। ফকিরহাটের জেলেরা বঙ্গোপসাগরসহ তৎসংলগ্ন বলেশ্বর, বিষখালী ও পায়রা নদী থেকে আহরিত করে সামুদ্রিক মাছ বিক্রি করা হচ্ছে পাথরঘাটা বিএফডিসিতে। এতে জেলেদের ও আড়তদার মালিকদের অনেক টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। এই ফকিরহাটে পূর্ণাঙ্গ বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হলে প্রতি বছর সরকার এখান থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। তারা আরও জানান, কয়েকশ মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। যার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে কয়েক হাজার জেলে। শতকোটি টাকা দাদন দেওয়া আছে আড়তদারদের। দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হওয়ার দাবি করেন তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441