বরগুনা আমতলীতে দুই ইউপি সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ছয় জনকে বরিশাল শেবাচিম ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার রাতে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া গ্রামে।
জানাগেছে, কুকুয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জব্বার প্যাদা ও তার সহযোগীরা রবিবার সন্ধ্যায় অপর প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম মাদবরের বাবা মজিবর মাদবরকে বাড়ী থেকে ডেকে নেয়। পরে তার ছেলেকে নির্বাচনী প্রচারনা থেকে সরে যেতে বলে এবং জীবন নাশের হুমকি দেয় এমন অভিযোগ জহিরুল ইসলাম মাদবরের। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দু’পক্ষের দুই প্রার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত শাহারিয়া মাদবর, মজিবুর মাদবর, জহিরুল ইসলাম জহির মাদবর, রাসায়ান মাদবর, জব্বার প্যাদা ও জালাল প্যাদাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঙ্কটজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শাহারিয়া মাদবরকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতলে প্রেরন করেছে। অপর আহত মিজানুর মাদবর ও মাকসুদা বেগমসহ চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির মাদবর বলেন, আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী জব্বার প্যাদা আমার বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে আমাকে নিবার্চন থেকে সরে যেতে জীবন নাশের হুমকি দেয়। বাবা এর প্রতিবাদ করলে তাকে বাবাকে মারধর করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী বাবাকে উদ্ধার করতে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে আমাকে, আমার দুই ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। আমার বাবাসহ আমাদের উপর হামলা করে জব্বার বাহিনীর লোকজন আর তারা হলেন কামাল হোসেন (৩২), আঃ জলিল প্যাদা (৪৮),মোঃ খলিল প্যাদা (৪৫), আলমগীর প্যাদা (৩৮) হাসান প্যাদা (৭০), , আঃ জলিল (৪৫) ইউসুফ প্যাদা (৩৮) জাহিদ প্যাদা(২২) ভাসান সিকদার (৪২) হৃদয় সিকদার (২২) আঃ রাজ্জাক (৫৬) আঃ খালেক (৪৮) আঃ মালেক (৪৫) ইব্রাহিম (২২) আঃ সাত্তার মাষ্টার(৬০) কালাম উকিলসহ দেশি অস্রদিয়ে দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়।
আহত অপর প্রার্থী জব্বার প্যাদা বলেন, নিবার্চনী প্রচারনা কালে প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মাদবরের বাড়ীর সামনে গেলে আমাকে এবং আমার সমর্থকদের উপর অহেতুক হামলা চালায়। তারা আমাকে এবং আমার ভাইকে মারধর করেছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোঃ তানভির সিদ্দিকী অনিক বলেন, শাহারিয়া মাদবরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর পাঁচচজনকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আহতদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখমের চিহৃ রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441