বরগুনায় যৌতুকের দাবীতে একসন্তানের জননী রাবেয়া আক্তারকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নির্যাতিতার স্বামী মোঃ শামীম হোসাইনের বিরুদ্ধে। গত ইংরেজী ২৪/০৯/২০২১ তারিখ শুক্রবার বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামে নির্যাতিতা গৃহবধুর বাবার বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগী রাবেয়া আক্তার।
গত ০৯/১২/২০১৬ তারিখ রেজিষ্ট্রি কাবিনমূলে বেতাগী উপজেলার কালিকা বাড়ী গ্রামের জনৈক মান্নান হাওলাদারের ছেলে মোঃ শামীম হোসাইন এর সাথে বরগুনার সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল বারেকের একমাত্র কন্যা রাবেয়া আক্তারের সাথে
বিবাহ হয়। সুখের দাম্পত্ত্য জীবন চলাকালীন সময় রাবেয়ার কোল জুড়ে সায়াদ হোসাইন নামের একটি ফুটফুটে পুত্রসন্তান জন্মগ্রহন করে। সায়াদ জন্মগ্রহনের পর পরই ভুক্তভোগী গৃহবধুকে যৌতুকের দাবীতে শারিরিক ও মানসিক যন্ত্রনা দিতে থাকে স্বামী শামীম হোসাইন। ভুক্তভোগী রাবেয়া আক্তারের পিতা মেয়ের সুখের আশায় অভিযুক্ত শামিম হোসাইনকে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকায় একটি হিরো ১০০ সিসি মটর সাইকেল কিনে দেয় এবং মাদ্রসায় চাকুরীর জন্য নগদ তিন লক্ষ টাকাও দেয় এমনটিই বলেন নির্যাতিতা গৃহবধু রাবেয়া আক্তার।
রায়েবা আক্তার আরো বলেন, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগমকে নুরানি কায়দায় লেখাপড়া করানোর ট্রেনিং এর কথা বলে গত ইং ৩০/০৮/২০২১ তারিখ ঢাকায় নিয়া একটি নুরানি কায়দা ট্রেনিং সেন্টারে রেখে স্বামী শামীম হোসাইন বাড়িতে চলে আসে এবং ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগমের সাথে আর কোন যোগাযোগ করে নি পাষন্ড স্বামী অভিযুক্ত শামীম হোসাইন। নুরানি কায়দা ট্রেনিং সেন্টারের কার্যক্রমে রাবেয়ার সন্দেহ হইলে, সুযোগ বুঝে লঞ্চযোগে বাবার বাড়িতে ফিরে এসে সমস্ত ঘটনার কথা তার পিতার কাছে খুলে বলে রাবেয়া।
ভুক্তভোগী রাবেয়ার পিতা আব্দুল বারেক বলেন, মেয়ের মুখে এসকল ঘটনা শুনে জামাতা শামীম হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, অভিযুক্ত শামীম হোসাইন তার পিতা আঃ মান্নান হাওলাদার, মাতা মোসাঃ ফিরোজা বেগম ও বড় ভাই সুমনকে নিয়া গত ইংরেজী ২৪/০৯/২০২১ তারিখ শুক্রবার বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামে আমার বাড়ীতে আসে। মেয়ের অভিযোগের বিষয় আলোচনা করার এক পর্যায়ে একটি মাদ্রাসা স্থাপনের জন্য আমার কাছে আরো পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। আমি দাবীকৃত যৌতুক দিতে অস্বকৃতি জানাইলে অভিযুক্ত পাষন্ড শামীম হোসেন আমার বাড়ীতেই আমার সামনে আমার মেয়েকে মারধর করে আমার বাড়ি থেকে চলে যায়। শামীম হোসাইনের মারধরে আমার মেয়ে রাবেয়া অজ্ঞান হয়ে যায়। অভিযুক্ত শামীমের মারধরে মেয়ের শরীরের অবস্থার অবনতি হলে ২৫/০৯/২০২১ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাই। ২৭/০৯/২০২১ তারিখ চিকিৎসা শেষে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসি।
অভিযুক্ত শামীম হোসাইনের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বরগুনার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে বরগুনা থানায় এখনো কোন অভিযোগ পাই নি, তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441