স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা। খাদ্য নেই, আছে পানির সংকটও। বিদ্যুৎহীন হয়ে অন্ধকারে চলছে তাদের রাত্রিযাপন। এমন মানবেতর সময়ে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সাহায্যের পণ্যবাহী ট্রাক বহরের জন্য। মিসর ও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চুক্তির আলোকে প্রতিশ্রুতির এই মানবিক সাহায্যের বহর গাজায় প্রবেশের কথা রয়েছে। তবে কখন, তা জানে না গাজাবাসী। খবর এএফপির।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের রক্তক্ষয়ী হামলায় এক হাজার ৪০০ প্রাণহানির পর শুরু হওয়া যুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৭৮৫ জনে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য দিয়েছে। ইসরায়েলের বিমান থেকে অব্যাহত বোমাবর্ষণে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি হয়ে পড়েছে উদ্বাস্তু। প্রায় ২৪ লাখ মানুষ অধ্যুষিত গাজা উপত্যকাটির মানবিক পরিস্থিতির বিবরণ দিতে গিয়ে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ একে ‘মুত্যু, কষ্ট আর ধ্বংসের নগরী’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে রাফাহ সীমান্তের মিসরীয় অংশে ১০০টিরও বেশি ট্রাক মানবিক সাহায্যের পণ্য নিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের আশায় অপেক্ষা করছে। ওই এলাকাটি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে বিশেষ করে রাফাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া খান ইউনিসে ১১টি আবাসিক ভবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গাজার কেন্দ্রস্থলে আল জাহরায় বিমান হামলায় পাঁচটি আবাসিক ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য হামলার আগে সেখান থেকে ১০০টি পরিবারকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসা হয়। এখন তারা আশ্রয় হারিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছে। এসব খবর দিয়েছে আলজাজিরা।
গাজার দক্ষিণাংশে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে এখন ধারণ ক্ষমতার বেশি শরণার্থী অবস্থান করছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের হলগুলোতে আর তিল ধারনের জায়গা নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441