সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ প্রভাবে কয়েক দিন ধরে দেশে ভারী বৃষ্টি। ভারী বর্ষণ আর জোয়ার উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায়ই দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ফসলি জমির পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়িতেও প্রবেশ করেছে পানি। ভারী বৃষ্টি প্রভাবে তালতলী মৎস্য ও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সাগরে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওযায় সাগর উত্তাল থাকায় আর ঝড়ের কবলে পড়ে শত শত মাছ ধরার ট্রলার ঘাটে আশ্রয় নিয়েছে।
মেনিপাড়া কৃষক মনেজ চৌকিদার বলেন, কয়েক দিন ধরে দেশে ভারী বৃষ্টিতে জমির সবজি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্য, মরিচ,শসা, করলা সিম ও মিষ্টি কুমাড় বেশী ক্ষতি হয়েছে।
লালুপাড়ার কৃষক ইভান মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত জোয়ারের পানি এবং ভারী বৃষ্টির কারণে ধানবীজ পানির নিচে ডুবে গেছে। অনেক চারা পচন দরেছে। হালচাষ সব বন্দ হয়ে আছে।
উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, চলতি বছর মাছ চাষিরা একের পর এক প্রতিকূলতায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ নিয়ে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা করেছে মৎস্য অফিস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, কৃষি অফিস সাধ্যমতে সহায়তা করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। এছাড়াও বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ চলমান। সরকারের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441