‘ভুয়া ডাক্তারকে’ কারাগারে পাঠালেন হাইকোর্ট
logo
ঢাকা, শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভুয়া ডাক্তারকে’ কারাগারে পাঠালেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ৩, ২০২২ ৩:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভুয়া সনদ দিয়ে চিকিৎসক হিসেবে নিবন্ধন নেওয়ার অভিযোগ ওঠা ভোলার দৌলতখানের মো. মাহমুদুল হাসানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ (সোমবার) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে আসামিকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ। আসামির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শাহিনুর আলম।

আইনজীবী শাহিনুর আলম  বলেন, মামলায় মাহমুদুল হাসান চার নম্বর আসামি। আমরা আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি নিয়ে আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে তাকে জেলে পাঠাতে শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে এ মামলার অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া সনদ সংগ্রহ করে চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। আদালতে আমরা বলেছি, এমন কোনো সনদ আমরা নেয়নি, এমনকি এটা আমরা ব্যবহারও করিনি। তারপরও আদালত আবেদন খারিজ করে দেন।

চীনের একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সনদে ১২ জনকে এমবিবিএস চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনি বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।

মামলায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ছাড়াও চিকিৎসক নিবন্ধন পাওয়া ১২ জনকে আসামি করা হয়।

বাকি ১২ আসামি হলেন- কুমিল্লার বড়ুরার মো. ইমান আলী ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতীর তন্ময় আহমেদ, ভোলার দৌলতখানের মো. মাহমুদুল হাসান, চাঁদপুরের মতলবের মো. মোক্তার হোসাইন, ঢাকার সাভারের মো. আসাদ উল্লাহ, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মো. কাউসার, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রহমত আলী, বাগেরহাট সদরের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর দাগনভুঁইয়ার মো. সাইফুল ইসলাম এবং সিরাজগঞ্জ সদরের মো. আসলাম হোসেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা, জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া এমবিবিএস সনদ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন।

চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন বলে মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে সদন জমা দেন এই ১২ বাংলাদেশি।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।