সর্বশেষ ১৯৬২ সালে পরপর দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর কেটে গেছে ৬০ বছর। এর মধ্যে সুযোগ এসেছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। কিন্তু কেউই জিততে পারেনি টানা দ্বিতীয়বার শিরোপার মুকুট। এবার সুযোগ থাকছে কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্সের সামনে। ফাইনালের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারলেই টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়বে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।
তবে শিরোপার লড়াইটা এবার মোটেও সহজ হচ্ছে না ফ্রান্সের জন্য। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই ছিল দারুণ ছন্দে। মেসি নিজেও আছেন উড়ন্ত ফর্মে। ৬ ম্যাচে ৫ গোল করে আছেন গোল্ডেন বুটের দৌড়ে। সুযোগ থাকছে গোল্ডেন বল জেতারও। তবে ৩৫ বছর বয়সী মেসিকে তেমন ভয় পাচ্ছে না ফ্রান্স।
বুধবার আল বায়াত স্টেডিয়ামে সেমির লড়াইয়ে ২-০ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। দলকে ফাইনালের মঞ্চে তুলতে বড়সড় অবদান রেখেছেন থিও হার্নান্দেজ। পঞ্চম মিনিটে তার গোলেই এগিয়ে যায় গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাই ম্যাচ শেষে আত্মবিশাস যেন ঝড়ে পড়ছিল ফরাসি ডিফেন্ডারের কণ্ঠে। ইতালির সংবাদমাধ্যম ‘রাই স্পোর্ত’কে জানান, মেসিকে ভয় পায় না তার দল।
সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন ফাইনাল নিয়ে ভাবতে হবে। রোববারের জন্য ফিট হয়ে উঠতে হবে। আমরা মেসিকে ভয় পাই না। আর্জেন্টিনা অসাধারণ এক দল। তবে নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দিতে আমরাও প্রস্তুত থাকব।’
বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ দল হিসেবে শিরোপা জয়ের পরের আসরে ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। এই পথ পর্যন্ত উঠে আসতে ক্লান্তি অনুভব করলেও ফাইনালে উঠতে পেরে আনন্দিত হার্নান্দেজ, ‘দুটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা অসাধারণ ব্যাপার। পথটা কঠিন হলেও আমরা ভালো খেলেছি। হ্যাঁ, আমি ক্লান্ত তবে এখন ফাইনাল নিয়ে ভাবার সময়।
এদিকে মঙ্গলবারের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩–০ গোলে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালের লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসটা তুঙ্গে মেসিদেরও। শেষ কয়েকটা ম্যাচ ভালো খেলেই শিরোপার মঞ্চে এসেছে তারা। তবে শেষ লড়াইটা কঠিনই হবে তাদের জন্য। গত বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতানো কিলিয়ান এমবাপে পরীক্ষা নেবেন ফ্রান্সের রক্ষণের। আলবিসেলেস্তিরা এবার সে পরীক্ষা কীভাবে উতরে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441