বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর অনেকের জীবনেই সুখ আসে না। এর নানাবিধ কারণও আছে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে চললে বিবাহিত জীবনে সুখ আসবেই। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, যেসব অভ্যাসে সুখের হবে বিবাহিত জীবন।
প্রথমেই যে কথাটি মনে রাখবেন
বিবাহ করা মানেই দু'জন মানুষ এক হয়ে যাওয়া নয়। তবে দু'জনের যেসব বিষয় মিল ও অমিল রয়েছে, সেগুলোকে মেনে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলা। একই সঙ্গে দুজন মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। একটু খোলসা করে বললে, বিবাহিত জীবন সুখের হয় দু’জন মানুষের মধ্যকার ভালোবাসা, বিশ্বাস ও সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে। এর যেকোনো একটির অভাবে আপনার বিবাহিত জীবনে ‘সুখ’ নামের সোনার হরিণ অধরাই থাকতে পারে।
শেয়ারে বাড়ে কেয়ার
সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে ‘মন খুলে কথা’ বলার বিষয়টি। সবকিছু মন খুলে স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করলে সম্পর্কে এক ধরনের হৃদ্যতা তৈরি হয়। যা বহুদিন একসঙ্গে হাতে হাত রেখে চলতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। তাই কথায় বলে, শেয়ারিংয়ে বাড়ে কেয়ারিং। দু’জন দুজনার কাছে যত বেশি সহজলভ্য হবেন, সম্পর্ক তত বেশি নরম, সুন্দর ও জমপেশ হয়ে উঠবে।
ফোনে নয়, কথা হোক সামনা-সামনি
ফোন মানেই যান্ত্রিক যোগাযোগ। যেখানে শুধু কণ্ঠস্বরই শেষ কথা। ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয় না। তবে ব্যস্ত-জীবনে মুঠোফোনে যোগাযোগ না করলেই নয়। এরপরেও যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে সামনা সামনি বসে কথা বলা। কথা বলতে বলতে, প্রাণোচ্ছল হাসাহাসিতে সম্পর্কের বন্ধন আরও অটুট হয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, স্বামী-স্ত্রী হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের ওপর গড়াগড়ি খেলেও ভালোবাসা বাড়ে। এতে একজনের প্রতি আরেকজনের জন্য মায়া জন্মে।
চুমু খাওয়া
তীব্র ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হলো চুমু। প্রতিদিন স্ত্রীকে চুমু খেলে বিবাহিত জীবন আরও সুখের হয়। অন্যভাবে বললে, পরস্পরের কাছে আত্মসমর্পণের অংশ হলো চুমু। একের জন্য অন্যের বিশ্বাস ও আস্থা জন্ম নিলেই আসে এই আত্মসমর্পণের বোধ। যার প্রতি রয়েছে অগাধ বিশ্বাস, তাকে তো চোখ বন্ধ করেও ভরসা করাই যায়!
পরামর্শ দিন, সমাধান নিন
যেকোনো সমস্যায় দু’জন দুজনার পাশে থাকা চাই। যেকোনো পরামর্শ দেওয়া কিংবা অন্যের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করলে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। এরমধ্যে দিয়ে একজনের প্রতি অন্যজনের যত্নশীল মনোভাব প্রকাশিত হয়। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বা বিবাহিত জীবন সুখের রাখতে এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441