শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে একমাত্র ভরসা পুরাতন গরম পোশাকের দোকান। হাটবাজার গুলোতে গরম কাপড়ের সমারোহ ঘটেছে বিপুল পরিমাণে। শীত নিবারণে পুরাতন গরম কাপড় অসহায়ের সহায়।
বরগুনার তালতলীতে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলছে চারদিকে কনকনে ঠাণ্ডা।শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে একমাত্র ভরসা পুরাতন গরম পোশাকের দোকান। নতুন কাপড়ের দোকানে মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তদের ভিড় থাকলেও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য তা কেনা বেশ কষ্টসাধ্য। তাই শীত নিবারণে পুরাতন গরম কাপড় অসহায়ের সহায়।
এসব দোকানে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা দরের কাপড় এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার ২১ নভেম্বর উপজেলার সাপ্তাহিক হাটে ঘুরে দেখাগেছে, পুরাতন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ যেন একটু বেশি। এর মূল কারণই হল কাপড়ের দাম কম। এ কারণেই নিম্ন ও মধ্যমআয়ের ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকে। ১৫ থেকে ২০ জন ব্যবসায়ী সাপ্তাহিক হাট গুলোতে কাপড় বিক্রি করেন।
অংকুজান পাড়া এলাকার নিম্নআয়ের ক্রেতা ইসমাইল মিয়া জানান,মোরা গরিব মানুষ দিন আনি দিন খাই শীতে নতুন কোর্তা কিনতে পারি না। তাই পোলা মাইয়া নিয়ে অনেক কষ্টে দিনকাটাই । হেইয়ালইগ্যা ফুটপাতের দোকান থেকে পোলা মাইয়াগো লইগ্যা কিছু জামা কাফুর কিনছি।
তালতলী হাটে পুরাতন কাপড় বিক্রেতা মোস্তফা মিয়া জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এ বছর কয়েক লট মাল আনা হয়েছে। ভালো বিক্রিও হয়েছে। ক্রেতারা প্রচুর আসছেন। কোনো কোনো লটে অনেক ভালো কাপড় থাকে। সেই ভালো কাপড় খুঁজে নিতে ক্রেতাদের থাকে বাড়তি আগ্রহ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কাওছার হোসেন বলেন, উপজেলায় এখনও পুরোপুরি শীত শুরু হয়নি। প্রতিবছর সরকার অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতাড়ন করেন। এ বছর তালিকা তৈরি করে কম্বল বিতাড়ন করা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441