জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী ছিলেন মারিয়া মিম। ২০১২ সালে তারা বিয়ে করেছিলেন। এরপর তাদের সংসারে একটি সন্তানও আসে। কিন্তু ২০১৮ সালের দিকে বিনোদন জগতে কাজ করতে চান মারিয়া। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। যা এক পর্যায়ে ডিভোর্সে রূপ নেয়।
সিদ্দিকের সঙ্গে ডিভোর্সের পর নিজেকে খোলামেলা রূপে উপস্থাপন করে আসছেন মারিয়া মিম। সোশ্যাল অ্যাকাউন্টগুলোতে নিয়মিত আবেদনময়ী ছবি শেয়ার করেন তিনি। এ নিয়ে নিন্দাও সহ্য করতে হয় তাকে। তবে মারিয়া নিজের ইচ্ছেমতোই চলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
মডেলিং ও অভিনয়ে নাম লেখালেও সেভাবে আলোচনায় আসতে পারেননি মারিয়া মিম। এর মধ্যেই আবার একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। শুটিং সেটে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানালেন এ অভিনেত্রী।
কিছুদিন আগে এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন মারিয়া মিম। লেখেন, ‘অনেকেই বলে তুমি কেন নাটকে নিয়মিত না, নিয়মিত কাজ করো ভালো করবে। এখন আমি কিছু কথা বলি, আমি নাটকে নিয়মিত কাজ করা শুরু করেছিলাম এবং ভালোই করছিলাম। সব ঠিকঠাকই ছিল, আরো অনেক কাজ করতে পারতাম। কিন্তু আমার মনটা ভেঙে যায়। একটা নাটকের শুটিংয়ে আমাকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমার সহশিল্পীর ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম না; যার কারণে শুটিংয়ের সময়ে আমাকে সাপোর্ট করছিল না। শুটিং শেষে বাসায় চলে আসব কিন্তু আসতে দেবে না। সারাদিন শুটিং করে এসব সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম।’
ওই ঘটনা প্রবল নাড়া দিয়েছিল মারিয়া মিমকে। সেটা থেকে নিজেকে সামলে নিতে অনেক সময় লেগেছিল বলে জানান তিনি। মারিয়ার ভাষ্য, ‘আমার ভাইকে আগেই কল দিয়ে জানিয়েছিলাম, তাড়াতাড়ি আসো এবং একের পর এক কল দিতে থাকো। সেদিন এভাবেই বেঁচে গিয়েছিলাম। সেদিনের ঘটনার পর ২-৩ মাস বিষণ্নতায় ভুগেছি; কোনো ধরনের শুটিং করিনি।’
যদিও ঘটনাটি কোন নির্মাতা বা কোন নাটকের শুটিংয়ে ঘটেছিল, তা স্পষ্ট করেননি মারিয়া মিম। স্ট্যাটাসের শেষ বাক্যে অভিনয়শিল্পীদের সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441