“প্রতি আটজন নারীর মধ্যে একজন তার জীবনকালে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।” এই তথ্য ‘আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি’র । বিশ্বে নারীদের মৃত্যুর কারণের তালিকায় স্তন ক্যান্সারের দ্বিতীয় অবস্থানে।
পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ স্তন ক্যান্সারের পেছনে বংশগত কারণ দায়ী থাকে। ১৩ শতাংশ রোগীর ‘ফার্স্ট ডিগ্রি রিলেটিভ’ থাকেন যাদের এই রোগ ছিল। জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে এই প্রাণঘাতি রোগকে দূরে রাখা সম্ভব।
নিজেই হন প্রথম পরীক্ষক, প্রতিটি নারীর উচিত প্রতি মাসে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করানো। দেখতে হবে স্তনে এমন কোনো দাগ কিংবা ‘লাম্প’ বা গোটা টের পাওয়া যায় কি-না যা আগে ছিল না। এ বিষয়ে সরাসরি চিকিৎসকের কাছ থেকে শিখে নিতে হবে অথবা অনলাইনে ইউটিউভ টিউটুরিয়াল দেখা যেতে পারে।
বয়স ৪০’য়ের কোঠায় পৌঁছালে তখন নিয়মিত ‘ম্যামোগ্রাম’ করতে হবে। তবে পরিবারে যদি কারও স্তন ক্যান্সার থাকে তাহলে আরও আগে থেকেই ‘ম্যামোগ্রাম’ করা উচিৎ।
উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আসা খাবার স্তনের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এ ধরনের খাবার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা কবচ তৈরি করে। অন্যদিকে প্রাণিজ উৎসের খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় ‘ইস্ট্রোজেন’ হরমোনের মাত্রা বাড়ানোর মাধ্যমে। আর এই হরমোনই ৮০ শতাংশ স্তন ক্যান্সার কোষের জ্বালানি যোগায়। খাদ্যাভ্যাসে প্রতিদিন থাকা চাই ব্রকলি, সয়া এবং তিশির গুঁড়া।
অতিরিক্ত ওজন, ‘ওবেসিটি’ রজঃবন্ধ হয়ে যাওয়া নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় ৫০ থেকে ২৫০ শতাংশ। এদের মধ্য থেকে ৫০ শতাংশের মৃত্যুর জন্যও দায়ী হবে অতিরিক্ত ওজন। প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। কাজেই এ বিষয়ে সর্বাদিক গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।
তবে লাম্প’ বা গোটা, ফুলে যাওয়া, স্তন কিংবা বৃন্তে ব্যথা, বৃন্ত ছোট হওয়া ইত্যাদি ঝুঁকিপূর্ণ ইঙ্গিত পেলেই সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।