কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় ঘুমন্ত স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগে স্ত্রী সাহিনা বেগম ও শাশুড়ি শেফালী বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) শেষ বিকেলে উপজেলার কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামেএ ঘটনা ঘটেছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর আগে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ঝিনঝিরা বালার চর গ্রামের মৃত জোসেন আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনের (২৫) সঙ্গে কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে সাহিনা বেগমের (১৮) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) উভয় পরিবারের মধ্যস্থায় দাম্পত্য কলহের নিরসন হলে সন্ধ্যায় স্ত্রীকে নিয়ে কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান আলমগীর। পরদিন শনিবার দুপুরের খাবার শেষে সেখানে ঘুমিয়ে পড়লে বিকেল ৫টার দিকে স্ত্রী সাহিনা ধারালো ব্লেড দিয়ে তার বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়।
এসময় আলমগীরের চিৎকারে আশাপাশের লোকজন ছুটে এসে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মাদার ক্লিনিকে ভর্তি করেন। পরে রাতেই আলমগীরের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা করেন। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাহিনা বেগম ও শাশুড়ি শেফালী বেগমকে গ্রেফতার করেছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতার দুইজনকের রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441