বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের করা চুক্তিতে পানি ভাগাভাগির বিষয়ে স্পষ্ট চুক্তি থাকলেও ১৯৯৬ সালের চুক্তিতে ফারাক্কা পয়েন্টে কতটুকু পানি আসবে তা স্পষ্ট ছিল না। ৯৬ সালের চুক্তি ছিল শুভঙ্করের ফাঁকি।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সাউথ এশিয়ান ইযুথ রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টন ও এগিয়ে যাওয়ার পথ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বদ্বীপ সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় মানুষের হস্তক্ষেপের কারণে আমাদের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও জীবনযাত্রা বদলে গেছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। স্বার্থের জন্য আইন তো দূরের কথা মানবিক দিকটিও দেখা হয়নি নদী ব্যবস্থাপনায়। পানি নিয়ে ঐতিহাসিক অধিকার আমরা হারিয়ে ফেলেছি। আমাদেরকে ঠকাতে আমাদের বন্ধুদেশ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা কাউকে খুশি করার জন্য আমাদের ক্ষতি হচ্ছে জেনে-বুঝেও কথা বলি না। কারণ কথা বললে খেসারত দিতে হবে। ফারাক্কা চুক্তিতে সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেওয়ার কথা থাকলে তা কখনো আসেনি। এসেছে মাত্র ৬ হাজার কিউসেক পানি। যখন বাংলাদেশ তলিয়ে গিয়ে সব শেষ হয়ে যায় তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করতে যান। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই দেশে ঘন ঘন বন্যা ও মানুষের সর্বনাশ হচ্ছে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতিসংঘের সাবেক পানি বিশেষজ্ঞ ড. এস. আই খান, পানি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ বেলাল রিজভী
ই-মেইলঃ news.dailybibartan@gmail.com
ফোনঃ +8801611572441