সৈকতে পড়ে থাকা বর্জ্যে মাছের ম্যুরাল
logo
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈকতে পড়ে থাকা বর্জ্যে মাছের ম্যুরাল

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নির্মিত হয়েছে বিশাল আকৃতির মাছের ম্যুরাল। আর এ ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে পরিত্যক্ত বোতল ও চিপসের প্যাকেট দিয়ে। ম্যুরালটি দূষণরোধে সচেতনতা বাড়াতে তৈরি করা হয়েছে যা নজর কাড়ছে পর্যটকদের।

জানা গেছে, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। যার স্বচ্ছ নীল জলরাশি, জোয়ার-ভাটায় উঁকি দেওয়া প্রবাল পাথর ও অপরূপ সৌন্দর্যে সবাই মুগ্ধ। প্রতি বছর শীত মৌসুমে দৈনিক ৪ হাজারের বেশি ভ্রমণপিপাসু ছুটে যান। বেড়াতে গিয়ে তারা যত্রতত্র সৈকতের বালিয়াড়ি বা প্রবাল পাথরে ফেলেন প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ও চিপসের প্যাকেট।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক, স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দারা যেন যত্রতত্র প্লাটিক ও অন্যান্য আবর্জনা না ফেলে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার লক্ষ্যে ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কার্যক্রমের পরিকল্পনাকারী ও প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ আমাদের দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। প্রতি বছর শীতকালে প্রতিদিন প্রায় ৩-৪ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে আসেন। কিন্তু অপরিকল্পিত পর্যটন, দূষণ, মাছ ও প্রবালের আবাসস্থল ধ্বংস, মাত্রাতিরিক্ত মৎস্য আহরণ, অবৈধভাবে প্রবাল আহরণ ও অবকাঠামো নির্মাণ এবং সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেন্টমার্টিনের প্রবাল প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র বর্তমানে হুমকির মুখে।

তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হলো যত্রতত্র প্লাস্টিক ও পলিথিন আবর্জনা, ছেঁড়া জাল ও নাইলন বস্তা নিক্ষেপ, যা চূড়ান্তভাবে সাগরের পানিতে চলে যায় এবং এর অনেকাংশ পানির নিচে প্রবালের ওপর জমা হয়ে প্রবাল প্রতিবেশ বিনষ্ট করছে। পরিবেশ দূষণের হাত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বাঁচানোর উদ্যোগ হিসেবে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, একোয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স অনুষদ একটি গবেষণা কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে।

অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেন, এই গবেষণায় দ্বীপের সৈকত ও পানির তলদেশে কী পরিমাণ ও কী ধরনের প্লাস্টিক এবং অন্যান্য আবর্জনা দ্বারা দূষিত হচ্ছে তা নিরূপণ করা হবে। এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে প্লাস্টিক দূষণ রোধে এবং দ্বীপের সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তারও একটি রূপরেখা ও সুপারিশমালা প্রণয়ন করে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে। এ গবেষণায় অর্থায়নে আছে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ)।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।