পিরিয়ড কি? কেন হয়? করনীয় কি
logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পিরিয়ড কি? কেন হয়? করনীয় কি

স্বাস্থ্য ডেস্ক
জুলাই ২৭, ২০২১ ১:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মাসিক ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড মেয়েদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মাসিক নিয়মিত ও সঠিকভাবে হওয়ার অর্থ হচ্ছে সে নারী সন্তান ধারণে সক্ষম। এক সময়ে মাসিককে অপবিত্র ও নোংরা বলে মনে করা হঝ7?ত। এই দৃষ্টিভঙ্গী অনেকটা পরিবর্তন হলেও এখনো এ নিয়ে মেয়েদের এবং মায়েদের মধ্যে অনেক ভুল ধারনা বিদ্যমান। এখনো বেশিরভাগ মায়েরা মনে করেন এটা হল শরীরের খারাপ রক্ত, যা যত বেশি বের হয় ততই ভালো

পিরিয়ড কী?

প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে।

একজন নারীর পিরিয়ড তাকে প্রতি মাসে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। আরেকটু সহজ ভাষায় বললে, আমরা শুধু জানি বাচ্চা হওয়ার জন্য পিরিয়ড হয়। তো বাচ্চা হওয়ার জন্য পিরিয়ড কেন হওয়া লাগে? কারণ, প্রতিমাসে মেয়েদের গর্ভাশয় তার বাইরের আবরণটাকে শক্ত করে যেন গর্ভবতী হওয়ার পর বাচ্চাকে আশ্রয় দিতে পারে। কিন্তু পরে যখন ভ্রূণ নিষিক্ত হয় না তখন সে তার সেই শক্ত আবরণটাকে ছিঁড়ে ফেলে আবার পরের মাসের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। যে কারণে মেয়েদের শরীরের ভেতরের একটা অঙ্গ ছিঁড়ে সেটা সেই রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়া গড়ে ২৮ দিনের মধ্যে হয়।

পিরিয়ড ফেজ:

এর তিনটি অংশ-
১) মেন্সট্রুয়াল ফেজ: ৪ দিন স্থায়ী হয় (৪-৭ দিন)
২) প্রলিফারেটিভ ফেজ : ১০ দিন স্থায়ী হয় (৮-১০ দিন)
৩) সেক্রেটরি ফেজ: ১৪ দিন স্থায়ী হয় (১০-১৪ দিন)

পিরিয়ড প্রক্রিয়া:

মেন্সট্রুয়াল ফেজ: এই যোনি পথে রক্ত বের হয়। ৪-৭ দিন স্থায়ী এই রক্তপাতে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকনিকা ছাড়াও এর সাথে শ্বেত কনিকা, জরায়ুমুখের মিউকাস, জরায়ুর নিঃসৃত আবরণী, ব্যাকটেরিয়া, প্লাজমিন, প্রস্টাগ্লানডিন এবং অনিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে থাকে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের যৌথ ক্রিয়ায় এই পর্বটি ঘটে।

প্রলিফারেটিভ ফেজ: ৮-১০ দিন স্থায়ী হতে পারে। শুধু ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে এটি হয়। এই সময় জরায়ু নিষিক্ত ডিম্বাণুকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্ততি নেয়।

সেক্রেটরি ফেজ: সবচেয়ে দীর্ঘ, প্রায় ১০-১৪ দিন। একে প্রজেস্টেরন বা লুটিয়াল ফেজ-ও বলা হয়। এটিও ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন উভয় হরমোনের যৌথ কারণে হয়। এই সময় নিষিক্ত ডিম্বাণুর বৃদ্ধির জন্য জরায়ু সর্বোচ্চ প্রস্ততি নি

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।