আমার স্বামী একটা সাইকো, হাতখরচ না দিলেই আমাকে পেটায়
logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আমার স্বামী একটা সাইকো, হাতখরচ না দিলেই আমাকে পেটায়

বিবর্তন ডেস্ক
ডিসেম্বর ২০, ২০২০ ৩:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আমার স্বামী একটা সাইকো। হাতখরচ না দিলেই আমাকে পেটায়। যৌতুক দাবি করে। স্বামীকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে চিত্রনায়িকা মডেল অভিনেত্রী তমা মির্জা এমন দাবি করেন। এনিয়ে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। অন্যদিকে হানিমুন থেকে ফিরে স্বামী হিশাম চিশতী অভিযোগ করেন তাকে তমা মির্জা মারধর করেন। তবে তমা মির্জার দাবি তার স্বামী তাকে প্রতিরাতেই মারধর করেন। মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন স্বামী। হাত খরচের টাকা না দিলে নির্যাতন করা হয় তাকে। স্বামী হিশাম তার কাছে যৌতুকও দাবি করেছেন। এমন অভিযোগে তিনি মামলাও করেছেন। তার মামলার পর স্বামী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

বাড্ডা থানায় করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন, কাউন্টার মামলা হয়েছে। তমা মির্জা আগে করেছেন। তারপর করেছেন হিশাম চিশতী। তমার মামলায় যেহেতু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রয়েছে তাই আমরা হিশামের মোবাইল ফোন ফরেনসিকে পাঠিয়েছি। দুটি মামলাই তদন্তে আছে।

উল্লেখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তমা মির্জা ২০১০ সালে ফিল্মপাড়ায় পা রাখেন। ‘বলো না তুমি আমার’ সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। তারপর বেছে বেছে অভিনয় করেন বেশ কয়েকটি সিনেমায়। ২০১৫ সালে ‘নদীজন’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রের অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তমা।

২০১৯ সালের ৭ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হিশাম চিশতীকে বিয়ে করেন তমা মির্জা। পারিবারিকভাবে হিশামের সঙ্গে তমার পরিচয়। শুরুতে তমার দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। দুবাইয়ে হানিমুনও করেছিলেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন এ অভিনেত্রী। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের মনোমালিন্যের খবর পাওয়া গেছে। এখন আর একসঙ্গে থাকছেন না তমা ও হিশাম। বিভিন্ন কারণে বাবার বাড়িতেই থাকছেন তমা মির্জা।

এরই মধ্যে নায়িকা তমা মির্জা এবং তার স্বামী হিশাম চিশতি পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ৫ ডিসেম্বর রাত ৩টায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন তমা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং যৌতুক জন্য মারপিটসহ হুমকি প্রদানের অপরাধে মামলাটি করেছেন তিনি। আর ৬ ডিসেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন হিশাম।

হিশামের করা মামলায় তমা মির্জাসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে, তমা মির্জা শুধু হিশাম চিশতীকেই আসামি করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলা করেই কানাডা চলে গেছেন তমার স্বামী হিশাম।

তমা মির্জা বলেন, হিশাম একজন সাইকো, মানসিক রোগী। কোনো কিছু সে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। বিয়ের পর থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক অত্যাচার করেছে। শারীরিক নির্যাতনও করত টাকার জন্য। আমার উপার্জনের টাকা কেন আমি আমার বাবা-মাকে দেই তা নিয়ে ওর ব্যাপক সমস্যা। আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে সে। হাত খরচের টাকা দিতে না পারলেই আমাকে মারধর করত। হিশাম চিশতীর করা মামলার এজাহারে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে উল্লেখ করে তমা মির্জা বলেন, ও জাস্ট মামলা করেই চলে গেছে। আমার মনে হয় ওর মামলার কোনো ভিত্তি নাই। আমরা যদি ওকে মারধর করতাম তাহলে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশ ডাকতাম? সেদিন রাতে (৫ ডিসেম্বর) আমি ৯৯৯ ফোন করে পুলিশ ডেকেছি। এ কারণেও আমাকে মার খেতে হয়েছে। পুলিশ আসার পর ও রুম থেকে বের হচ্ছিল না।

এক পর্যায়ে পুলিশ যখন লিফট দিয়ে নামছিল তখন হিশাম আমাদের সঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে নামছিল। সিঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সে আমাকে মেরেছে। আব্বু-আম্মুকেও মেরেছে। তখন আমরা প্রতিহত করতে গেলে সে আঘাত পেয়েছে। এখন তাহলে কোন পথে হাঁটবেন? পাগলের সঙ্গে সংসার করা সম্ভব না। আমি মামলা করার পর বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটি আর সম্ভব না। আমি আইনগতভাবে এগিয়ে যাব।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।